ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

কম র‍্যামের মোবাইলের জন্যে হালকা অ্যাপ

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
কম র‍্যামের মোবাইলের জন্যে হালকা অ্যাপ
মডেল : তটিনী, ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

দিন যত যাচ্ছে, মোবাইলের অ্যাপের সাইজও তত বাড়ছে। ফ্ল্যাগশিপ ফোনের জন্য এটা কোনো সমস্যাই নয়। তবে যেসব ফোনের র‌্যাম ১ কিংবা ২ গিগাবাইট, সেসবে বড় বড় এত অ্যাপকে জায়গা করে দিতে বেশ বেগ পেতে হয়। তাই ডেভেলপাররা নিজেদের জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর হালকা সংস্করণ তৈরি করেছেন।

জানাচ্ছেন তামজীদ রহমান লিও

অ্যাপগুলোর হালকা সংস্করণ সাধারণত ‘লাইট ভার্সন’ নামেই বেশি পরিচিত। আমাদের দেশে এই লাইট অ্যাপগুলো বেশ জনপ্রিয়। কারণ এগুলো খুব অল্প পরিমাণ মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল স্পেসিফিকেশনের ফোনগুলোর জন্য গুগল নিজেদের অ্যানড্রয়েডের লাইট সংস্করণ ‘অ্যানড্রয়েড গো’ নিয়ে আসে।

আর এটার জন্য তাদের প্রায় সব অ্যাপেরই একটি করে লাইট ভার্সন তৈরি করা হয়েছে। তা ছাড়া ফেসবুকও তাদের মেসেঞ্জার, ফেসবুক অ্যাপের লাইট সংস্করণ বেশ আগেই এনেছে। এসব লাইট অ্যাপের ফিচার মূল অ্যাপের তুলনায় কম। কিন্তু যাঁদের চলতে-ফিরতে এত ফিচারের প্রয়োজন হয় না কিংবা ব্যাটারি ও স্টোরেজ-স্বল্পতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য লাইট অ্যাপগুলো খুবই কাজের।

অপেক্ষাকৃত দুর্বল স্পেসিফিকেশনের ফোনগুলোর জন্য এই লাইট সংস্করণ যেন আশীর্বাদ। এই অ্যাপগুলো আকারে মূল অ্যাপ থেকে বেশ ছোট হওয়ায় ফোনে জায়গাও লাগে কম। পাশাপাশি র‌্যামের ওপরও খুব কম চাপ ফেলে এই অ্যাপগুলো। লাইট সংস্করণ অ্যাপ ব্যবহার করলে ব্যাটারি খানিকটা বাড়তি সময় ব্যাকআপ দেয়, কারণ এই অ্যাপগুলোতে প্রচুর ফিচারের পরিবর্তে শুধু মূল ফিচারগুলো থাকে বলে এগুলো চালালে মূল অ্যাপের মতো বেশি ব্যাটারি খরচ হয় না। একই সঙ্গে ডাটা খরচের পরিমাণও এই অ্যাপগুলোতে অনেক কম।

শুধু তাই নয়, দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগেও এই অ্যাপগুলো দিব্যি কাজ করতে পারে। এমনই কিছু কাজের লাইট অ্যাপের খোঁজ দেওয়া হলো এখানে।

ফেসবুক লাইট
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি সর্বত্র তুমুল জনপ্রিয়। ফেসবুকের বেশির ভাগ ব্যবহারকারীই মোবাইলের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুক প্রথম দিকেই নিজেদের অ্যাপের লাইট সংস্করণ তৈরি করে। কেননা ফেসবুকের মূল অ্যাপটি যথেষ্ট ভারী এবং প্রচুর চার্জ খরচ করে। ফেসবুক লাইটের আরেকটি সুবিধা হলো, এটি খুব অল্প পরিমাণ ডাটা খরচ করেই চালানো যায়।

মেসেঞ্জার লাইট
শুরুর দিকে অবশ্য মেসেঞ্জারের লাইট সংস্করণে কল করাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার না থাকলেও এখন প্রায় সব ফিচারই আছে। মূল মেসেঞ্জারের মতো এত বেশি ব্যাটারিও খরচ করে না এটি।

টুইটার লাইট
ফেসবুকের পর মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারও নিজেদের লাইট অ্যাপ নিয়ে এসেছে। অন্যগুলোর মতো এটিও খুবই ছোট সাইজের এবং ব্যাটারিবান্ধব।

উবার লাইট
উবার ছাড়া আজকাল চলা মুশকিল। শহরে জ্যাম এড়িয়ে চলতে গেলে এর বিকল্প হয় না। কিন্তু উবারের মূল অ্যাপটি অনেকের ফোনের স্বল্প স্টোরেজের কারণে ভালোভাবে না-ও চলতে পারে। আর এই সমস্যা দূর করতে উবার এনেছে তাদের উবার লাইট অ্যাপ। মাত্র ৫ মেগাবাইট আকৃতির এই অ্যাপটি হালকা যেকোনো ফোনে খুব চমৎকারভাবে চলে।

ইউসি ব্রাউজার মিনি
সব ধরনের ফোন ব্যবহারকারীর কাছেই ইউসি ব্রাউজার খুব জনপ্রিয়। বিশেষ করে ধীরগতির ইন্টারনেটে এটি খুব দ্রুত ওয়েবপেজ প্রদর্শন করতে পারে। তা ছাড়া ইউসির বিশেষ ডাউনলোড ম্যানেজার খুব দ্রুত বড় বড় ফাইলও ডাউনলোড করতে পারে। তারাও নিজেদের অ্যাপের একটি লাইট বা মিনি সংস্করণ এনেছে। ইউসি ব্রাউজারের এই হালকা সংস্করণে মূল সংস্করণের মতো প্রায় সব ফিচারই পাওয়া যাবে।

গুগল গো
সার্চ থেকে শুরু করে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের পারসোনালাইজড আপডেটের জন্য গুগল অ্যাপের জুড়ি নেই। সব স্মার্টফোনেই এটি থাকে। ফোনের স্টোরেজ ও ব্যাটারি নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলে মূল অ্যাপের বদলে এই লাইট সংস্করণটি নামিয়ে নিতে পারেন।

ক্লিন মাস্টার লাইট
স্মার্টফোনকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং ফোনটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্লিন মাস্টারের জুড়ি মেলা ভার। সেই শুরু থেকেই জনপ্রিয়তার সঙ্গে এই অ্যাপটি সব ধরনের ব্যবহারকারীর মনে জায়গা করে নিয়েছে। ফোনের জাংক ফাইল ক্লিন করা, ফোন বুস্ট করা, ব্যাটারি সেভার থেকে শুরু করে অ্যান্টিভাইরাসের কাজও করে এই ক্লিন মাস্টার লাইট। ফোনের প্রসেসরে চাপ না ফেলেই সব কাজ করা যায় এই লাইট সংস্করণের মাধ্যমে।

ফাইলস গো
গুগলের স্টক অ্যানড্রয়েডে ফাইল ম্যানেজার থাকে না। তবে অ্যানড্রয়েড গোয়ের জন্য ‘ফাইলস গো’ নামের এই লাইট অ্যাপটি নিয়ে এসেছে গুগল। ছোট্ট এই অ্যাপটি একই সঙ্গে ফাইল ম্যানেজার, ক্লিনার এবং শেয়ার ইটের বিকল্প, মানে ফাইল আদান-প্রদান করার কাজেও লাগবে। যেকোনো ফোনেই নামিয়ে নিতে পারেন অ্যাপটি।

গুগল ম্যাপস গো
দৈনন্দিন চলার পথে গুগল ম্যাপ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। এটি বর্তমানে একটি উন্নতির দিকে এগিয়ে যাওয়া ওয়েব অ্যাপ, তাই এটি ব্যবহার করতে ফোনে গুগল ক্রোম ইনস্টল থাকা আবশ্যক। মূল অ্যাপটির মতো এখানেও নেভিগেশন থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ফিচারই আছে। স্বল্প ইন্টারনেট এবং অল্প জায়গা ব্যবহার করেই দরকারি সব কিছু করা যায় গুগল ম্যাপস গো দিয়ে।

জিমেইল গো
জিমেইল অ্যাপকে চমৎকারভাবে কাস্টোমাইজ করে হালকা এই সংস্করণটি অ্যাপস্টোরে ছাড়া হয়েছে। ১৫ গিগাবাইটের বিনা মূল্যের স্টোরেজ থেকে শুরু করে একাধিক অ্যাকাউন্ট সমর্থনসহ সব ধরনের সুবিধা এই লাইট সংস্করণটিতে আছে। সুন্দর ইউজার ইন্টারফেসের এই অ্যাপ বেশ ছোট সাইজের, নিরাপদ এবং কার্যক্রমে দুর্দান্ত। যাঁরা ফোনের স্টোরেজ নিয়ে শঙ্কিত থাকেন, তাঁরা নির্দ্বিধায় এটি ব্যবহার করতে পারেন।

ইউটিউব গো
গুগলের ইউটিউব এখন মোবাইল বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। তাদের মূল ইউটিউব অ্যাপটি অনেক ডাটা খরচ করে। আর এ সমস্যা সমাধানে ইউটিউবের এই সংস্করণটি এনেছে। এ ছাড়া এটি ভিডিও ডাউনলোড করে অন্য ইউটিউব গো ব্যবহারকারীর সঙ্গে ডাটা খরচ ছাড়াই পাঠাতে পারে।

স্কাইপ লাইট
ম্যাসেজিং এবং ভিডিও কলিংয়ের বহুল জনপ্রিয় অ্যাপ স্কাইপ। এর লাইট সংস্করণ স্কাইপ লাইট আকৃতিতে ছোট, বেশ দ্রুতগতির এবং দুর্বল ইন্টারনেটেও চলতে সক্ষম। মূল সংস্করণের মতো এতেও প্রায় সব ফিচারই বিদ্যমান।

ফায়ারফক্স লাইট
অন্যতম সেরা ব্রাউজারগুলোর মধ্যে ফায়ারফক্সের নাম একেবারে ওপরের দিকে। দ্রুতগতিতে এবং অল্প ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য ফায়ারফক্স এনেছে তাদের লাইট সংস্করণ ফায়ারফক্স লাইট। ৪ মেগাবাইট সাইজের এই ছোট্ট ব্রাউজারটিতে টার্বো মোড, অ্যাড ব্লকিং সিস্টেম থেকে শুরু করে দরকারি অনেক কিছুই আছে।

লিংকডইন লাইট
পেশাদারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকডইন ব্যবহার করেন না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই লিংকডইনও তাদের অ্যাপের একটি লাইট সংস্করণ বের করেছে। মাত্র ১ মেগাবাইট সাইজের এই অ্যাপটিতে মূল অ্যাপের প্রায় সব ফিচারই আছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রিলস দেখতে আর স্ক্রল করতে হবে না, যে আপডেট নিয়ে আসছে ইনস্টাগ্রাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রিলস দেখতে আর স্ক্রল করতে হবে না, যে আপডেট নিয়ে আসছে ইনস্টাগ্রাম
সংগৃহীত ছবি

আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিলস বা শর্ট ভিডিও অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শত কাজের মাঝে একটু সময় পেলেই অনেকে ঢুঁ মারেন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে। কিন্তু রিলস দেখতে গেলে বারবার স্ক্রল করতে হয়। তবে এখন থেকে আর তেমনটা স্ক্রল করতে হবে না ইনস্টাগ্রামে।

আরো সহজ হতে চলেছে রিলস দেখা।

কী এই ফিচার

খুব শিগগির রিলসে ‘অটো স্ক্রল’ ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম। এর ফলে রিলস দেখতে গেলে আর স্ক্রল করতে হবে না। মোবাইল স্ক্রিনে চলতে থাকবে একের পর এক রিলস।

ইতিমধ্যেই আইফোনে এসে গেছে ইনস্টাগ্রামের নতুন এই ফিচার। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কবে আসবে, তা এখনো জানা যায়নি।

আরো পড়ুন
ঘড়ি বাঁ হাতে পরা হয় কেন, ডান হাতে পরলে কী হয়?

ঘড়ি বাঁ হাতে পরা হয় কেন, ডান হাতে পরলে কী হয়?

 

কিভাবে এই ফিচারটি চালু করবেন

‘অটো স্ক্রল’ ফিচারটি চালু করতে গেলে প্রথমে যেকোনো একটি রিলস ওপেন করতে হবে। তারপর ডানদিকে নিচে তিনটি বিন্দু দেওয়া একটি অপশন ক্লিক করতে হবে।

তারপর ‘অটো স্ক্রল’ ফিচারটি চালু করতে হবে। একবার এই ফিচারটি চালু করা হয়ে গেলে রিলস দেখার সময় আর বারবার স্ক্রল করতে হবে না।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

অ্যানোনিমাস পেজ থেকে গুজব ছড়াচ্ছে বেটিং চক্র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অ্যানোনিমাস পেজ থেকে গুজব ছড়াচ্ছে বেটিং চক্র

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাস। এই স্ট্যাটাসটি ছিল ২০ জুলাইয়ের। যেখানে দাবি করা হয়, ‘একটি বিদ্যালয়ের বিল্ডিং ধসে পড়বে, অনেক শিশুর প্রাণহানি ঘটবে। এমনটা ঘটবে বিদ্যালয়ের বিল্ডিংয়ের দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণের কারণে।

এরপরই সোমবার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজের প্রাইমারি ভবনে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরেই অনেকে দাবি করতে শুরু করেন, হয়তো এই ঘটনার সঙ্গে স্ট্যাটাসের কোনো যোগসাজশ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই একই পেজ থেকে উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরই অপর এক স্ট্যাটাসে দাবি করা হয়, তারা আগেই সতর্ক করেছিল। একদিন আগেই এমন কিছু ঘটবে, সেটার আগাম বার্তা দিয়েছিল। একের পর এক গুজব ছড়ানো হচ্ছিল পেজটি থেকে।

এছাড়া সোমবার সন্ধ্যায় ওই একই পেজ থেকে আরো একটি স্ট্যাটাসে দাবি করা হয়- বাংলাদেশে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একটি বোমা বিস্ফোরিত হবে। এটি হতে পারে কোনো হোটেল কিংবা হাসপাতালে।

মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলস্থূল শুরু হয়। অনেকেই তাদের সেই পোস্ট শেয়ার করে এক ধরনের আতঙ্ক-উদ্বিগ্নের কথাও প্রকাশ করেন।

তবে বিষয়টি বেশি দূর গড়ানোর আগেই এই ফেসবুক পেজের মুখোশ উন্মোচন করেছেন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকবিষয়ক সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। 

নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘অনলাইন জুয়াড়িদেরকে খোদা বানিয়ে ফেলা বন্ধ করুন! আজকের এই দিনে এমন জিনিসে অ্যাটেনশন দিতে হবে তা ভাবাও কষ্টকর। ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’ নিয়ে যে হাইপ তোলা হয়েছে, তারপর একটু সময় দিলাম পেইজটার পেছনে। যা পেলাম তা হচ্ছে--- প্রথমত, এটি অ্যানোনিমাস হ্যাকার গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু নয়। অ্যানোনিমাস এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে ফেসবুক পেইজ দেওয়া আছে সেটি এই পেইজ নয়।

‘দ্বিতীয়ত, ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’ নামক পেইজটি ঘেঁটে জানা গেছে, এটি একটি অনলাইন জুয়ার পেইজ। মূলত অনলাইন জুয়া প্রমোট করা (টিকিট বিক্রির), নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তারা অনলাইন গেমিং বা জুয়া সংক্রান্ত পোস্ট দিয়ে থাকে। তৃতীয়ত, তাদের যে পোস্ট ভাইরাল হয়েছে ‘স্কুল ভবন ধসে’ পড়া সংক্রান্ত সেটিতে লেখা হয়েছিল: ‘A school building will collapse leaving lots of kids l!veless. We see a terrible disaster fast coming, This will be as a result of poor maintenance on the building. We shall do everything in our power to avert this terrible catastrophe we’ve seen coming.’

‘এখানে কোনোভাবেই বাংলাদেশের নাম উল্লেখ নেই। আর বাংলাদেশে আজ যে ঘটনা ঘটেছে তাতে স্কুল ভবন ধসে পড়েনি। ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। যারা মারা গেছেন কেউ ভবনের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কারণে মারা যাননি। মারা গেছেন বিমান বিস্ফোরিত হয়ে লাগা আগুনে। ফলে এটা কোনোভাবেই বলার সুযোগ নেই যে, ওই পেইজে বাংলাদেশের এই ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল।’

‘গুজবে আজমসহ কিছু আওয়ামী লীগার তাদের ফেসবুক পেইজগুলোতে এই উপসংহার টানার চেষ্টা করেছেন, যা আসলে মূল পোস্টের সঙ্গে মিলে না। চতুর্থত, এই পেইজটি যে একটি স্ক্যামার জুয়াড়ি গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত তা স্পষ্ট হচ্ছে তাদের ওই পোস্টটি বাংলাদেশে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে। ভাইরাল হওয়ার প্রথম দিকেও পেইজটির ট্রান্সপারেন্সি সেকশন চেক করে দেখা গেছে এটি ৩টি দেশ থেকে চালানো হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপ, আরেকটি নাইজেরিয়া এবং তৃতীয়ত দেশের নাম এডমিন প্রকাশ করেনি।’ 

‘পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর তাদের পেইজের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় এডমিনদের অবস্থানকারী দেশের তথ্য তারা হাইড করে দিয়েছে। আফ্রিকায় নাইজেরিয়া অনলাইন জুয়াড়িদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত। জুয়ার প্রমোশনমূলক ওদের একটা পুরনো ভিডিওতে একজন আফ্রিকানকে দেখা গেছে। অর্থাৎ, এটির সঙ্গে নাইজেরিয়ান জুয়াড়িদের কানেকশন থাকার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে।’

‘তাদের পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পরে যখন বুঝতে পেরেছে তারা বাংলাদেশিদের অ্যাটেনশন পাচ্ছে (বিকেল থেকে তাদের ফলোয়ার ২ লাখের কাছাকাছি থেকে ৩ লাখের ওপরে উঠেছে) তখন একের পর এক বাংলাদেশ বিষয়ক পোস্ট দেওয়া শুরু করেছে। এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভয়ঙ্কর কিছু বাংলাদেশের মার্কেটগুলোতে ঘটবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। একইসঙ্গে তাদের আরো নানান জুয়ার পেইজ প্রমোট করা শুরু করেছে বাংলাদেশি নতুন ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে। আহ্বান জানাচ্ছে দ্রুত ফলোয়ার হওয়ার জন্য। এই পেইজটি ফলো করে জানি না কতজন অনলাইন জুয়ায় ঝুঁকে ফতুর হয়। এমনিতেই বাংলাদেশে অনলাইন জুয়া নানানভাবে বাড়ছে।’

মন্তব্য

চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে আইওএস ২৬

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে আইওএস ২৬
ছবি : অ্যাপল

চলতি বছরের জুন মাসে অ্যাপলের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপারস কনফারেন্স (ডব্লিউডব্লিউডিসি) থেকে আইওএস ২৬ ডেভেলপার বিটা প্রকাশ করা হলেও সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি প্রকাশ হয়নি। তবে ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, গুজব রয়েছে আইওএস ২৬ পাবলিক বিটা এ সপ্তাহেই প্রকাশ হতে যাচ্ছে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গুরম্যানের সর্বশেষ পাওয়ার অন নিউজলেটারে এমন তথ্যই জানা গেছে। সেখানে গুরম্যান জানিয়েছেন, আইওএস ২৬ আগামী সপ্তাহে পাবলিক বিটা পর্যায়ে যাবে বলে সব ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এটি আপডেট করা অপারেটিং সিস্টেমটিকে বর্তমানে যে পরিমাণ দর্শক আছে তার চেয়ে অনেক বেশি দর্শকের কাছে নিয়ে যাবে। যদিও এটি প্রকাশের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয়, এটি সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৭-এর সঙ্গে প্রকাশ হতে পারে।

গত সপ্তাহে এক্সে একটি পোস্টে গুরম্যান বলেছিলেন, আইওএস ২৬ পাবলিক বিটা ২৩ জুলাই বা তার কাছাকাছি সময়ে প্রকাশ হতে পারে। পরবর্তী পাওয়ার অনের তথ্য থেকে মনে হচ্ছে, গুরম্যান সেই সময়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।

গুরম্যানের প্রতিবেদনে ২০২৬ সালে প্রকাশ হতে যাওয়া আইওএস ২৭ সম্পর্কেও সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। গুরম্যান বিশ্বাস করেন, অ্যাপল ইতিমধ্যেই এই সফ্টওয়্যারটির উন্নয়নকাজ শুরু করেছে, যা অ্যাপলের ভাঁজযোগ্য আইফোনের সঙ্গে আসতে পারে। গুজব রয়েছে যে এটি ২০২৬ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৭ সালের প্রথম দিকে বাজারে আসবে। বাজারে বর্তমান সেরা ভাঁজযোগ্য ফোনগুলোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাপলের এটি প্রথম প্রচেষ্টা।

আইওএস ২৬ ছাড়াও অ্যাপল প্রায় নিশ্চিতভাবেই একই সময়ে ম্যাকওএস ২৬, আইপ্যাড ২৬, ওয়াচওএস ২৬, টিভিওএস ২৬-এর জন্য পাবলিক বিটা ও হোমপ্যাডের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আপডেট প্রকাশ করবে।

আইওএস ২৬ আপগ্রেডটি লিকুইড গ্লাসের নতুন নকশার পাশাপাশি স্প্যাম কল থেকে বর্ধিত সুরক্ষা, নতুন গেমস অ্যাপ, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের আপডেট ও আরো অনেক কিছুর আমূল পরিবর্তন ও নতুন অনুভূতি নিয়ে আসবে।

সূত্র : টেক রাডার

মন্তব্য

প্রথমবারের মতো এআই দিয়ে তৈরি দৃশ্য ব্যবহার করল নেটফ্লিক্স

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথমবারের মতো এআই দিয়ে তৈরি দৃশ্য ব্যবহার করল নেটফ্লিক্স
ফাইল ছবি : এএফপি

নেটফ্লিক্স তাদের টেলিভিশন শোতে প্রথমবারের মতো উৎপাদনক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) তৈরি ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ব্যবহার করেছে।

স্ট্রিমিং জায়ান্টটির সহ-প্রধান নির্বাহী টেড সারান্দোস বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনার বিজ্ঞান কল্পকাহিনি শো ‘দি এটারনাউট’ একটি ভবন ধসের দৃশ্য তৈরি করতে প্রম্পটের ওপর ভিত্তি করে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এ প্রযুক্তি প্রযোজনা দলকে দ্রুত ও কম খরচে দৃশ্য সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে।’

অন্যদের কাজ ব্যবহার করে তাদের সম্মতি ছাড়াই কনটেন্ট তৈরি করায় ও মানুষের কাজ প্রতিস্থাপন করার আশঙ্কায় বিনোদন শিল্পে উৎপাদনক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বেশ বিতর্কিত।

 

সারান্দোস এমন একটি সময়ে এ মন্তব্য করলেন যখন, জুন মাসের শেষ পর্যন্ত তিন মাসে নেটফ্লিক্সের আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মুনাফা ২.১ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩.১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

‘দি এটারনাউটে’ ব্যবহৃত জেনারেটিভ এআই প্রযোজনা দলকে বুয়েনস এইরেসে ভবনধসের একটি দৃশ্য স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে সারান্দোস।

সারান্দোস বলেন, ‘এটি আসলে পর্দায় প্রদর্শিত নেটফ্লিক্সের একটি অরিজিনাল সিরিজ বা ছবিতে প্রথম এআই তৈরি দৃশ্য।

তাই নির্মাতারা এর ফলাফলে রোমাঞ্চিত।’

২০২৩ সালে হলিউড ধর্মঘটের সময় উত্থাপিত প্রধান উদ্বেগগুলোর মধ্যে এআই ছিল অন্যতম। তিন মাসের ওই ওয়াকআউটের সময় স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড-আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস ইউনিয়ন এআই ব্যবহারের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছিল।

চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এআইকে শিল্পের জন্য অবমাননাকর বলে অভিহিত করেছেন।

সিঙ্গাপুর অ্যানিমেশন স্টুডিও ক্রেভএফএক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডেভিয়ার ইউন বলেছেন, ‘নেটফ্লিক্সের এআই গ্রহণ কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়, কারণ অন্য বড় স্টুডিওগুলোও প্রযুক্তিটিকে স্বাগত জানাচ্ছে। এটা সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে। এআই অবশ্যই ছোট স্টুডিওগুলোকে বড় বাজেটের ভিজ্যুয়াল তৈরির সুযোগ করে দেওয়ার দরজা খুলে দিচ্ছে। তবে অবশেষে এআই নয়, শিল্পীই সিদ্ধান্ত নেন চূড়ান্ত ছবিতে কী থাকবে।’

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ