দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। নাড়ির টানে পরিবার নিয়ে দেশের বাড়ি যাবেন অনেকেই। কিন্তু তার আগে নামতে হবে টিকিট সংগ্রহের লড়াইয়ে। লাইনে না দাঁড়িয়েও কয়েক ক্লিকেই ঘরে বসে কেনা যায় বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও বিমানের টিকিট।
ঘরে বসে ক্লিক করলেই ঈদের টিকিট
কালের কণ্ঠ অনলাইন

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে : বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট http://www.esheba.cnsbd.com-এ ঢুকতে হবে। ঢুকলেই একটি পেজে দুটি অপশন থাকবে—একটি সাইন ইন, অন্যটি সাইন আপ। যাঁদের আইডি খোলা আছে তাঁরা ই-মেইল, পাসওয়ার্ড, সিকিউরিটি কোড দিয়ে সাইন ইন করে আইডিতে ঢুকবেন। যাঁদের আইডি খোলা নেই, তাঁদের নতুন আইডি খুলতে সাইন আপে ক্লিক করে নিবন্ধন করে নিতে হবে।
ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটতে চাইলে ‘Purchase Ticket’ অপশনে ক্লিক করুন। ক্লিক করলে একটি পেজে ঢুকবেন। সেখানে ‘Station from’ এবং ‘Station to’ বাছাই করবেন। ভ্রমণের দিনক্ষণ বাছাই করবেন।
ট্রেন বাছাইকরণ : আপনি যে তারিখে যে রুটে বাছাই করেছেন, সেই রুটে এক বা একাধিক ট্রেন আছে। কোনটা কখন ছাড়বে, সব দেখা যাবে ওয়েবসাইটে।
টিকিট বাছাইকরণ : এবার আসা যাক টিকিট বাছাইকরণে। এতে দুটি অপশন থাকবে : ‘Auto Selection’ ও ‘Seat Selection’। যদি অটো সিলেকশন সিলেক্ট করেন, সার্ভার কম্পিউটারে যেসব টিকিট পাওয়া যাবে, সেখান থেকে যেকোনো আসন দিয়ে দেবে। কিন্তু সিট সিলেকশনে ক্লিক করলে নিজের পছন্দ অনুযায়ী আসন বেছে নিতে পারবেন।
আসন বাছাইকরণ : সিট সিলেকশনে ক্লিক করলে আপনাকে নির্ধারণ করা বগির বা বগিগুলোর আসন পরিকল্পনা দেখাবে। যেসব আসন কালো দেখবেন, সেগুলো কাউন্টারের জন্য নির্ধারিত। যেসব আসন লাল ও সবুজ, সেগুলো অনলাইনের জন্য। লাল মানে এসব আসন এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে, সবুজগুলো এখনো কেনা যাবে। এসব থেকে আপনার পছন্দমতো আসন বা আসনগুলো বাছাই করবেন। বাছাই করলে পাশের ছোট্ট ট্যাবে আপনার আসনগুলোর নম্বর, ভাড়া, ভ্যাট, সার্ভিস চার্জসহ মোট ভাড়া দেখাবে। এরপর আপনার লিঙ্গ (পুরুষ বা নারী), বয়স—এগুলো সিলেক্ট বা পূরণ করবেন। অটো সিলেকশন করলে তারাই আপনাকে দেখাবে কয়টি আসন আছে, ভাড়া কত। তবে কোন বগি, কোন আসন—এসব দেখাবে না। এরপর লিঙ্গ, বয়স সিলেক্ট বা বাছাই করুন। ভ্রমণের ১০ দিন আগে থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আসন বাছাই করতে পারবেন। ভ্রমণের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভ্রমণের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সিট সিলেকশন বা বাছাইকরণ অপশন থাকবে না। তখন আপনাকে অটো সিলেকশনে যেতে হবে।
টিকিট কাটার সময় : টিকিট কেনার সময় সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা। রাত ১০টার পর টিকিট কাটার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হবেন।
পেমেন্ট : টিকিটের বিল মেটাতে পারবেন ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিবিবিএল নেক্সাস, ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং থেকে। যেটা দিয়ে ভাড়া মেটাবেন, সেটাতে ক্লিক করবেন। একবার টিকিট কাটলে আগামী সাত দিন একই কার্ড থেকে টিকিট কাটতে পারবেন না। যদি কাটেন তাহলে আপনার টাকা কেটে রেখে দেবে, কিন্তু কোনো টিকিট দেবে না।
এরপর ই-মেইলে ঢুকলে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে একটি মেইল আসবে। সঙ্গে একটি পিডিএফ ফাইল থাকবে। এখানে ডাউনলোড প্রিন্ট আউট অপশন আছে। পছন্দমতো পিডিএফ ডাউনলোড বা প্রিন্ট আউট করুন। যদি কাউন্টার থেকে টিকিটের হার্ডকপি নিতে চান তাহলে মোবাইল নম্বর এবং টিকিটের পিন নম্বর একটা কাগজে লিখে কাউন্টারে দিন, তারা আপনাকে টিকিট দেবে।
যাঁর নামে আইডি খোলা হয়েছে, টিকিটও তাঁর নামেই হবে। যদি তিনি ভ্রমণ করেন, তাহলে শুধু পিডিএফের প্রিন্ট কপি নিয়েই ভ্রমণ করতে পারবেন, কাউন্টার থেকে টিকিট তোলা লাগবে না। কিন্তু অন্য কেউ এই পিডিএফ দিয়ে ভ্রমণ করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে তাঁকে কাউন্টার থেকে টিকিট তুলতে হবে।
অ্যাপেও কাটা যাবে ট্রেনের টিকিট : অবশেষে নিজেদের মোবাইল অ্যাপ এনেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ওয়ান স্টপ মোবাইল অ্যাপ ‘রেলসেবা’। প্রথমে এই ঠিকানা https://play.google.com/store/apps/details?id=com.cnsbd.railsheba থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। আপাতত শুধু অ্যানড্রয়েড সংস্করণে রয়েছে অ্যাপটি। তবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আইওএস সংস্করণও আনা হবে শিগগিরই। অ্যাপটি ডাউনলোডের পর ইনস্টল করে চালু করলে লগইন অপশন দেখা যাবে। যদি রেলসেবা অ্যাপে আপনি নিবন্ধন করে থাকেন তাহলে ফোন নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। আর আগেই যদি আপনি বাংলাদেশ রেলের ই-সেবা ওয়েবসাইট নিবন্ধন করে থাকেন তাহলে সেই আইডি ব্যবহার করে লগইন করতে পারবেন। আর যদি অ্যাপটি নিবন্ধন না করে থাকেন তাহলে নতুন করে সাইন আপ বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর নতুন একটি পেজ চালু হবে। সেখানে নাম, ফোন নম্বর, আইডির পাসওয়ার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। তারপর আপনার ফোনে একটি কোড যাবে। সেই কোডটি অ্যাপে সাবমিট করলেই আইডিটি তৈরি হয়ে যাবে।
যেভাবে কিনবেন টিকিট : প্রথমে অ্যাপের ‘purchase’ অপশনে যেতে হবে। তারপর ‘from station’ অপশনে ক্লিক করে ড্রপ ডাউন মেন্যু থেকে কোন স্টেশন থেকে যাবেন নির্ধারণ করতে হবে। যদি স্টেশন না থাকে তাহলে সার্চ বাটন থেকে কিওয়ার্ড লিখে স্টেশন খুঁজে পাওয়া যাবে। একই পদ্ধতিতে কোথায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে ‘to station’ অপশন থেকে। এরপর ‘journey date’ থেকে কোন তারিখ যাবেন নির্ধারণ করে ‘search train’ বাটন চাপতে হবে। তাহলে ট্রেনের তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে যে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে দেখা যাবে। সেখানে ‘select class’ অপশনে ক্লিক করে কোন ধরনের আসন নেবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। তারপর ‘adult’ ও ‘child’ অপশন থেকে টিকিটের ধরন ও সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে। তারপর ‘select seat’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আসন নির্বাচন করতে হবে। তারপর নতুন একটি পেজে টিকিটের সম্পর্কে বিস্তারিত দেখা যাবে। সেখান থেকে ‘pay now’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে অনলাইনের পেমেন্ট অপশনগুলো দেখা যাবে। ভিসা, মাস্টারকার্ড, এমেক্স কার্ড এবং বিকাশের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা যাবে। ফিরতি মেইল ও এসএমএসে টিকিট কনফারমেশন পাবেন গ্রাহকরা।
বাসের টিকিট
বিডিটিকেটস ডটকম : অনলাইনে অনেক মাধ্যমে বাসের টিকিট কাটা যায়। এর মধ্যে একটি ‘বিডিটিকেটস ডটকম’ (https://bdtickets.com)। এখান থেকে দেশের ৬০০টিরও বেশিসংখ্যক রুটে চলাচলকারী শীর্ষস্থানীয় ২০টিরও বেশি বাস সার্ভিসের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
রুট বাছাই করার পরই সেই রুটে চলাচলকারী সব বাসের তালিকা চলে আসবে। তারপর গ্রাহক তাঁর ভ্রমণের তারিখ, যাত্রাস্থল ও গন্তব্যস্থল এবং ভ্রমণের জন্য বাস সার্ভিস বাছাই করার পর টিকিটের ভাড়া ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড অথবা বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। টিকিট কিনতে ব্যবহার করা যাবে ভিসা, মাস্টারকার্ড, বিকাশ, ডিবিবিএল, শিওর ক্যাশ, ব্র্যাক ব্যাংক, রকেট, আমেরিকান এক্সপ্রেস, আইপে, ইউপে।
টিকিট কেনা নিশ্চিত হয়ে গেলে গ্রাহকের মোবাইল ফোনে একটি নিশ্চিতকরণ এসএমএসে যাবতীয় তথ্যসহ টিকিটের রেফারেন্স নাম্বার পৌঁছে যাবে এবং গ্রাহক সেই এসএমএসটি দেখিয়েই তাঁর যাত্রা শুরু করতে পারবেন।
কোনো গ্রাহক টিকিট বাতিল করতে চাইলে পোর্টালে থাকা ‘ক্যান্সেলেশন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। সহজ একটি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় টিকিট কেনার সময় প্রাপ্ত টিকিটের নম্বর এবং পিন নম্বর দিয়ে টিকিট বাতিল করা যাবে।
সহজ ডটকম : অনলাইনে বাসের টিকিট কেনার আরেকটি বিশ্বস্ত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকম। এখান থেকে বাসের টিকিট কিনতে প্রথমে https://www.shohoz.com লিংকে যেতে হবে। তারপর হোম পেজের নিচের দিকে ‘buy bus tickets’ অপশনে যেতে হবে। সেখান থেকে ‘from’ অপশনে কোথা থেকে যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। তারপর ‘to’ অপশনে কোথায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। তারপর তারিখ নির্ধারণ করে ‘search buses’ অপশনে ক্লিক করলে কোন কোন বাসে আসন পাওয়া যাবে প্রদর্শিত হবে। সেখান থেকে পছন্দমতো বাস নির্ধারণ করতে হবে। তারপর ‘view seats’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে পছন্দসই আসন নির্বাচন করতে হবে। ‘choose boarding point’ নির্বাচন করে ‘continue’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নতুন একটি পেজ চালু হবে। সেখানে যাত্রীর নাম ও তথ্য দিতে হবে। সেখানে কত টাকা বিল হয়েছে তা-ও দেখা যাবে। ‘confirm reservation’ অপশনে ক্লিক করে বিল পরিশোধ করতে হবে। টিকিট কেনা নিশ্চিত হয়ে গেলে গ্রাহকের মোবাইল ফোনে একটি নিশ্চিতকরণ এসএমএসে যাবতীয় তথ্যসহ টিকিটের রেফারেন্স নম্বর পৌঁছে যাবে এবং গ্রাহক সেই এসএমএসটি দেখিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু করতে পারবেন।
এ ছাড়া সহজ ডটকমের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও টিকিট কেনা যাবে। এর জন্য এই ঠিকানা https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shohoz.rides থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। তারপর অ্যাপটি চালু করে অ্যাপে থাকা ‘bus’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর অনলাইনে টিকিট কেনার মতোই কিনে ফেলা যাবে বাসের টিকিট।
টিকিট কিনতে ব্যবহার করতে পারেন ভিসা, মাস্টারকার্ড, বিকাশ, ব্যাংক এশিয়া, মাই ক্যাশ, ব্র্যাক ব্যাংক, এমটিবি, আমেরিকান এক্সপ্রেস, নেক্সাস।
বিমানের টিকিট
ঈদে সড়কপথের যানজট এড়াতে এবং সময় বাঁচাতে অনেকেই যাতায়াতের জন্য আকাশপথ বেছে নেবেন। অভ্যন্তরীণ রুটে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহন করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, নভো এয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। চাইলে অনলাইনেই টিকিট কেটে ফেলতে পারবেন বিমানের।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস : রাষ্ট্রীয় আকাশসেবা সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের টিকিট কাটতে প্রথমে এই ঠিকানায় যেতে হবে@www.biman-airlines.com। ওয়েবসাইটের বাঁ দিকে লাল অক্ষরে ‘বুক মাই ফ্লাইট’ চোখে পড়বে। এর নিচে দেখবেন রাউন্ড ট্রিপ (যাওয়া-আসা), ওয়ান ওয়ে (যাওয়া) ও মাল্টি সিটি (একটি গন্তব্যে গিয়ে আরেক গন্তব্য থেকে ফেরা)। পছন্দমতো এর যেকোনো একটিতে ক্লিক করতে হবে।
এরপর বড় করে সবুজ অক্ষরে ‘ফ্রম টু’ লেখার পাশে ‘ডিপারচার সিটি’তে ক্লিক করে যাত্রার শুরু স্থানে ক্লিক করুন। ‘অ্যারাইভাল সিটি’তে উল্লেখ করুন গন্তব্য। এর নিচে ‘ডিপার্টিং অন’ অপশনে ক্লিক করে যাত্রার তারিখ দিন। ‘রিটার্নিং অন’-এ ফেরার তারিখ জানান। তারপর কতজন যাত্রী যাবে নির্ধারণ করতে হবে।
এরপর বিজনেস ক্লাস, ইকোনমি, নাকি প্রিমিয়াম ইকোনমিতে যাবেন নির্ধারণ করতে হবে। নতুন একটি পেজ চালু হবে। সেখান থেকে রাউন্ড ট্রিপ (যাওয়া-আসা), ওয়ান ওয়ে (যাওয়া) ও মাল্টি সিটি (একটি গন্তব্যে গিয়ে আরেক গন্তব্য থেকে ফেরা) যেকোনো একটিতে ক্লিক করে পরিবর্তন করা যাবে। এবার ‘কন্টিনিউ’ লেখায় ক্লিক করলে নতুন একটি পেজ আসবে। এতে ভ্রমণের দিনক্ষণ, টিকিটের মূল্য, ফ্লাইট নম্বর ও শর্তাবলি পাবেন। এগুলো নিয়ে সম্মতি থাকলে কালো অক্ষরে লেখা ‘i agree to the above terms and conditions’-এর পাশের ফাঁকা ঘরে ক্লিক করলে টিকচিহ্ন দেখা যাবে। এর নিচে টিকিটের মোট মূল্য আবারও দেওয়া হবে। ফ্লাইট পরিবর্তন করতে হলে বাঁ পাশে ‘চেঞ্জ ফ্লাইট’-এ ক্লিক করতে হবে। আর সব ঠিক থাকলে ডান পাশে ‘কন্টিনিউ’তে ক্লিক করুন। এরপর আরেকটি পেজ চালু হবে। সেখানে যাত্রীর নাম, মেইল, ফোন নম্বর, ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন হলে তা মোবাইল ফোন বা ই-মেইল কিংবা উভয় মাধ্যমে পেতে হলে ‘notify me to fly time changes vai’ লেখার পাশের শূন্য ঘরে টিকচিহ্ন দিন। এবার ডান পাশে ‘মেক রিজারভেশন’ লেখায় ক্লিক করুন। রিজারভেশন হয়ে যাওয়ার পর পেজে ইংরেজিতে বুকিং শব্দটির পাশে ইংরেজি বর্ণ ও সংখ্যাসহ একটি পিএনআর নম্বর পাবেন। এই অংশটি প্রিন্ট করতে ‘প্রিন্ট রিজারভেশন’ লেখায় ক্লিক করুন। ই-মেইলে নিয়ে রাখতে চাইলে ‘সেন্ড ভায়া ই-মেইল’।
টিকিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বেছে নিন ‘কমপ্লিট পারচেজ’। এতে ক্লিক করলে দেখবেন টিকিটের পুরো দাম। এবার পে বাই ক্রেডিট/ডেবিট/মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অপশনে ক্লিক করুন। এবার পিএনআর নম্বর আবার উল্লেখ করে দেওয়া হবে আপনাকে। এরপর কোন ধরনের কার্ডে টাকা দেবেন নির্বাচন করুন। এই পেজে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডে টাকা দেওয়ার শর্তাবলি রয়েছে। এগুলো মেনে থাকলে তিনটি ফাঁকা ঘরে টিকচিহ্ন দিন। এরপর কার্ড ব্যবহারকারীর নাম, কার্ডের ধরন, কার্ড নম্বর, মেয়াদের তারিখ, সিভিসি কোডসহ সব তথ্য দিয়ে সাবমিট দিলেই পেমেন্ট হয়ে যাবে। তারপর যাত্রীর ই-মেইলে চলে আসবে টিকিটের কপি।
ইউএস-বাংলা : বেসরকারি আকাশসেবা সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের টিকিট কাটতে এই ঠিকানায় যেতে হবে—www.flyusbair.com। তারপর ওয়েবসাইটের ওপরে দেখা যাবে রিটার্ন, ওয়ান ওয়ে ও মাল্টি সিটি (একটি গন্তব্যে গিয়ে আরেক গন্তব্য থেকে ফেরা)। আপনার সুবিধামতো এর যেকোনো একটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘ডিপারচার সিটি’তে যাত্রার স্থানে ক্লিক করুন। ‘অ্যারাইভাল সিটি’তে উল্লেখ করুন গন্তব্য। এরপর যাত্রা ও ফেরার তারিখ জানান। যাত্রীর সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে। নতুন পেজ আসবে, সেখানে দিনক্ষণ অনুযায়ী ক্লাস নির্ধারণ করতে হবে। তারপর ডান পাশে সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ডে উল্লেখ থাকবে টিকিটের মোট মূল্য। এবার ‘আই অ্যাকসেপ্ট দ্য জেনারেল টার্মস অব সেল’ লেখার পাশের ফাঁকা ঘরে টিকচিহ্ন দিন। তারপর ‘বুক অ্যাজ আ গেস্ট’ লেখায় ক্লিক করুন। আর যদি ফ্লাইট নির্বাচন বদলাতে চান তাহলে ওপরে ‘চেঞ্জ সিলেকশন’ বেছে নিতে হবে। এরপর যাত্রীর নাম, ফোন নম্বর বা ই-মেইল আইডি দিতে হবে। তারপর ডান পাশে টিকিটের দামের নিচে ‘বুক’ লেখায় ক্লিক করুন। রিজারভেশন হয়ে যাওয়ার পেজে ইংরেজিতে বুকিং শব্দটির পাশে ইংরেজি বর্ণ ও সংখ্যাসহ একটি পিএনআর নম্বর পাবেন। যাত্রীর তথ্য পরিবর্তন করতে হলে ‘মোডিফাই প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন’, ফ্লাইট বদলাতে ‘চেঞ্জ ফ্লাইট’ এবং আগের পেজে যেতে ক্লিক করুন ‘ব্যাক টু মাই ট্রিপস’। টিকিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বেছে নিন টিকিটের মূল্যের নিচে থাকা ‘পে অনলাইন’। এতে ক্লিক করলে নতুন পেজ আসবে। এরপর কার্ড নম্বর, মেয়াদের তারিখ, সিভিসি কোড ও কার্ড ব্যবহারকারীর নামসহ সব তথ্য দিয়ে ‘পে নাউ’ লেখায় ক্লিক করলেই পেমেন্ট হয়ে যাবে। এরপর কেনা টিকিটের বিস্তারিত তথ্য মিলবে ই-মেইলে। রিজেন্ট এয়ারওয়েজ (http://www.flyregent.com) এবং নভো এয়ারের (http://www.flynovoair.com) ওয়েবসাইট থেকেও প্রায় একই নিয়মে টিকিট কাটা যাবে।
লঞ্চের টিকিট
ঈদে অনেকেই লঞ্চে ঘরে ফিরবেন। এর জন্য এবার ঈদের টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করতে হবে না। সহজ ডটকমে পাওয়া যাবে লঞ্চের টিকিট। এর জন্য প্রথমে এই ঠিকানায় যেতে হবে— https://www.shohoz.com। তারপর হোম পেজের ওপরে থাকা ‘launch’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ঠিক বাসের টিকিট কেনার মতোই যাওয়া-আসার সময়, যাত্রীসংখ্যা এবং লঞ্চ নির্ধারণ করে সহজ ডটকম থেকে টিকিট কেনা যাবে। অ্যাপেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিডিটিকেটস ডটকমেও (https://bdtickets.com) লঞ্চের টিকিট কাটা যাবে।
লঞ্চের টিকিট কেনা যাবে ভিসা, মাস্টারকার্ড, বিকাশ, ব্যাংক এশিয়া, মাই ক্যাশ, ব্র্যাক ব্যাংক, এমটিবি, আমেরিকান এক্সপ্রেস, নেক্সাস ব্যবহার করে।
সম্পর্কিত খবর

নতুন ফিচার নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ, গ্রুপ চ্যাটে হবে নতুন অভিজ্ঞতা
অনলাইন ডেস্ক

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ কয়েক দিন পরপরই নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয়। উদ্দেশ্য, এই অ্যাপকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তোলা। এবার তারা আনতে চলেছে এক নতুন এক ফিচার। এর ফলে বদলে যাবে গ্রুপ চ্যাটের অভিজ্ঞতা।
নতুন এই আপডেটের ফলে ইউজাররা কোনো গ্রুপে না ঢুকেও বুঝতে পারবেন সেখানে কী ঘটছে। আপাত দৃষ্টিতে এই আপডেট খুব সামান্য মনে হলেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে ইউজারদের গ্রুপ চ্যাটের অভিজ্ঞতায়, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মেটার মালিকানাধীন এই মেসেজিং অ্যাপের সাম্প্রতিকতম বিটা আপডেটেড সংস্করণ ২.২৫.২০.১৭ এ এই আপডেটটি মিলবে।
কিভাবে কাজ করবে ফিচারটি
এত দিন পর্যন্ত কোনো গ্রুপের ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় কেউ ‘টাইপিং’ করছে কি না।
তবে এই আপডেট কেবল গ্রুপ চ্যাটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি এটি এখনই আইওএস ইউজাররা পাবেন না। এদিকে অ্যানড্রয়েড তথা বিটা ইউজারদের ক্ষেত্রেও আপাতত একেবারে সাম্প্রতিক ভার্সন ব্যবহারকারীদের একটি ছোট অংশেই এটি দেখা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, ধীরে ধীরে সবাই এই আপডেটটি পাবেন।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

ইউটিউব থেকে অর্থ আয়ের নীতিতে পরিবর্তন, কনটেন্ট নির্মাতাদের ওপর কী প্রভাব পড়বে?
অনলাইন ডেস্ক

অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউব তার ‘মানিটাইজেশন’ বা ভিডিও থেকে নির্মাতাদের অর্থ আয়ের নীতিতে নতুন আপডেট এনেছে। এর ফলে অন্যদের কনটেন্ট বা আগে ব্যবহার করা ভিডিও পুনরায় ইউটিউবে ছেড়ে আর অর্থ আয় করা যাবে না। ইউটিউব থেকে অর্থ আয় করতে হলে অবশ্যই কনটেন্ট বা ভিডিওতে নতুন অথবা কিছুটা মৌলিকত্ব থাকতে হবে।
‘অরিজিনাল কনটেন্ট’, অর্থাৎ মৌলিকত্ব রয়েছে এমন কনটেন্টকে উৎসাহ দিতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে ইউটিউব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকের উদ্বেগের কারণ, কোনো সৃজনশীলতা যোগ না করেই রেডিমেড (ইতিমধ্যে বিদ্যমান কনটেন্ট যা অন্য কেউ তৈরি করেছেন) কনটেন্ট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করে, এমন বিপুল সংখ্যক চ্যানেল রয়েছে। আর আগ্রহের একটা বড় কারণ হলো ইউটিউব বহুদিন ধরেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল যে, অরিজিনাল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা পদক্ষেপ নেবে। ওই নীতিমালা কার্যকর হয়েছে মঙ্গলবার (১৫ই জুলাই) থেকে।
ইউটিউব যা জানিয়েছে
ইউটিউব বলছে, "আমরা আমাদের রিপিটিশাস কনটেন্ট (পুনরাবৃত্তিমূলক কনটেন্ট) বিষয়ক নীতিতে একটা ছোটখাটো আপডেট করছি যাতে রিপিটিশাস কনটেন্ট বা মাস প্রোডিউসড কনটেন্টকে শনাক্ত করা যায়।"
"আমরা এই নীতির নাম রিপিটিশাস কনটেন্ট থেকে পরিবর্তন করে ইনঅথেন্টিকেটেড কনটেন্ট রাখছি। বিদ্যমান নীতির আওতায় যেখানে স্রষ্টাদের তাদের সৃজনশীলতা এবং অরিজিনাল কনটেন্ট তৈরির পুরস্কৃত করা হয়, সেখানে ওই জাতীয় কনটেন্ট মানিটাইজেশনের জন্য অযোগ্য।"
পাশাপাশি জানানো হয়েছে 'রিইউজড কনটেন্ট' অর্থাৎ রেডিমেড কোনো কনটেন্টে কিছু নতুন যোগ করে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
ইউটিউব জানিয়েছে, "আমাদের রিইউজড কনটেন্ট যেখানে কমেন্ট্রি (ধারাভাষ্য বা মন্তব্য যোগ করা) , ক্লিপ, কম্পাইলেশন (কনটেন্টের সংকলন) এবং ভিডিও রিক্রিয়েশন করা হয়, সেই সংক্রান্ত নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।"
ইউটিউবের 'এডিটোরিয়াল অ্যান্ড ক্রিয়েটর লিয়াজোঁ' রেনে রিচি এক ভিডিওতে বলেছেন, "এটা একটা ছোটখাটো আপডেট। আমাদের উদ্দেশ্য ইন অথেন্টিকেটেড কনটেন্টকে আরো ভালভাবে শনাক্ত করা। এটা কোনোভাবে রিক্রিয়েট করা ভিডিও বা ক্লিপের সংকলনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়।"
"একই ভিডিও যা ঘুরে ফিরে বারবার আসছে বা মাসপ্রোডিউস হচ্ছে, যেটা মানুষের কাছে স্প্যামের মতো, সেটাকে অর্থায়নের অযোগ্য বলে মনে মনে করা হচ্ছে- এই যা।
এর অর্থ কী
সহজভাবে বলতে গেলে এবার থেকে ক্রিয়েটর মাথায় রাখতে হবে তারা যে কনটেন্ট তৈরি করছেন সেখানে যেন মৌলিকত্ব বা নতুন কিছু থাকে। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সৌম্যক সেনগুপ্ত বলেছেন, "রিপিটিশাস কনটেন্টকে ইনঅথেন্টিক কনটেন্ট হিসাবে পুনর্বিবেচনা করার এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। এটা কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে মৌলিকত্ব আনার বিষয়কে উৎসাহ দেয় এবং এই নিয়ে ইউটিউব বহুদিন ধরেই প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আসছিল।"
'রিপিটিশাস কনটেন্ট' এবং 'রিইউজড কনটেন্ট' কোনগুলো তা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।
তার কথায়, "অন্যের বানানো কোনো কনটেন্টে নতুন কিছু যোগ না করে ব্যবহার করলে তা রিপিটিশাস কনটেন্টের আওতায় পড়ে। আবার ইতিমধ্যে তৈরি করা কোনো কনটেন্টে ব্যাখ্যা, অডিও ইত্যাদি যোগ করে যদি তা দর্শকদের কাছে তুলে ধরা হয়, তাহলে তা রিউজড কনটেন্ট।"
আর 'মাসপ্রোডিউসড কনটেন্টের' ক্ষেত্রে 'টেমপ্লেট' ইত্যাদির বদল না করে ব্যাপক হারে কনটেন্ট তৈরি করা হয়। সেখানে নতুন কিছু যোগ করা হয় না। সেন বলেছেন, "আপডেট করা নীতিমালায় রিপিটিশাস বা মাসপ্রোডিউসড কনটেন্টকে অর্থায়নের অযোগ্য বলে জানানো হলেও রিউজড কনটেন্টের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। আসলে ইউটিউব চাইছে ভিডিওতে মৌলিকত্ব আসুক নিদেনপক্ষে নতুন কিছু যোগ করা হোক।" এতে প্ল্যাটফর্মের মানও বাড়ে।
এই বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কোনো ভিডিওর মাসপ্রোডাকশন বা গণহারে তৈরি করা কঠিন কাজ নয়।
সেনের কথায়, "এখন এআই প্রম্পট ব্যবহার করে ব্যাপক হারে কনটেন্ট তৈরির কাজ সহজ। আজকের দিনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় কোনটা খুঁজে বের করা থেকে শুরু করে তার উপর কনটেন্ট তৈরি সবই অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে সহজেই হয়ে যায় এবং এইভাবে বিনা পরিশ্রম করেই মাসপ্রোডাকশন করে অর্থলাভ করা যেত। এটা বন্ধ করতে চাইছে ইউটিউব।"
সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ভিডিওর বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারেই দেখে এসেছে এই সংস্থা। কোনও কনটেন্ট এআই ব্যবহার করে তৈরি, তা নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রেও উদ্যোগী হয়েছে ইউটিউব, যাতে তারা ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে পারে। আর এখন কনটেন্টে মৌলিকতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
ইউটিউব বলেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ছবি, ভিডিও ইত্যাদির বিষয়ে স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। যদিও কোনওভাবে কনটেন্টের মান বাড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই বলে জানানো হয়েছে। মোটের উপর এআয়ের 'অপব্যবহার' রুখতে উদ্যোগী এই সংস্থা।
এই নীতিমালার আপডেটের কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। "আসলে একটা বড় সংখ্যক চ্যানেল রেডিমেড ভিডিওকে নিজেদের কনটেন্ট হিসাবে ব্যবহার করে আয় করত। এতে যারা সৃজনশীল এবং মৌলিক কাজ করেন তাদের সমস্যায় পড়তে হতো। একটা হিট কনটেন্টকে আবার ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ ভিউ পেয়েছে এমন বহু চ্যানেল আছে," বলেছেন সিমরন কৌর। তার গবেষণার বিষয় সামাজিক গণমাধ্যম এবং ইনফ্লুয়েন্সার।
তিনি বলেছেন, "মোবাইল এবং ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি থাকায় এখন যে কেউ কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। গত কয়েক বছরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষত কোভিডের সময় লকডাউনের সময় থেকে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে আয়ও করা শুরু করেছেন। বিশ্বজুড়ে তো বটেই, ভারতেও অনেকের কাছে এটা ফুলটাইম পেশা।"
"শুধুমাত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী, শেফ বা সেলেব্রিটিদেরই নয় একজন গৃহবধূ থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি- যে কেউ জনপ্রিয় ক্রিয়েটর হতে পারেন। তাদের কারো কারো ফলোয়ার বা সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা নামী অভিনেতাদের টেক্কা দেওয়ার মতো। তবে, একদিকে যেমন অসংখ্য সৃষ্টিশীল ক্রিয়েটর রয়েছেন তেমনই, সৃজনশীলতার অভাব আছে, এমন ক্রিয়েটররের সংখ্যাও কম নয়।"
তার মতে, "তাছাড়া ফলোয়ার ধরে রাখতে গেলে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করতে হয়, তাই অনেকেই এই মাসপ্রোডাকশান এবং রিপিটিশাস ভিডিওর উপর নির্ভর করেন। তাদের অনেকে উদ্বিগ্ন যে ইউটিউবের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের ফলে তাদের সেই আয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।"
তবে ইউটিউবের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলেই মনে করছে তার মতো বিশেষজ্ঞরা। সেন বলেছেন, "ইউটিউবের এই পদক্ষেপকে যারা অনুকরণের বদলে মৌলিক কাজ করেন, সেই সমস্ত ক্রিয়েটরদের পুরস্কৃত করার একটা অপরিহার্য পদক্ষেপ বলেই মনে করি।"
"এটা তো শুধুমাত্র অ্যালগোরিদম-এর আউটপুট নয়। এখানে স্রষ্টার সৃজনশীলতা, আবেগ, অন্তর্দৃষ্টি এবং পরিশ্রম রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয়তো সাহায্য করতে পারে কিন্তু স্রষ্টাকে তার স্বীকৃতি দিতে হবে।"
'মৌলিকত্বে বিশ্বাসীদের জন্য বড় সুযোগ'
ইউটিউবাররা বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?
শেফ এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর মীত প্যাটেল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন , "কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আট বছরের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আমার মনে হয় ইউটিউবের এই নতুন আপডেট বিশ্বজুড়ে স্রষ্টাদের উপর প্রভাব ফেলবে। যারা শুধুমাত্র রেডিমেড কনটেন্ট, এআই-এর মাধ্যমে তৈরি কনটেন্ট, কপি করা ভিডিও ব্যবহার করেন অথবা খুব কম পরিশ্রমে তৈরি কনটেন্ট পরিবেশন করেন, তাদের আয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে।"
"অন্যদিকে, আমার মতো অনেকেই যারা শুরু থেকে একেবারে নিজস্ব কনটেন্ট তৈরি করছেন, তাদের ক্ষতি হবে না। বরং যারা মৌলিক কনটেন্ট তৈরি করেন, তাদের আয় কিছুটা বাড়িয়ে দেবে এই নতুন আপডেট।"
গুজরাটের বাসিন্দা প্যাটেলের ইউটিউব এবং ফেসবুকে ফুড চ্যানেলে অনুরাগীদের সংখ্যা মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। প্যাটেল বলেছেন, "এতদিন স্টক ভিডিও পুনঃব্যবহার, ট্রেন্ডিং বিষয়, বা স্বয়ংক্রিয় স্লাইডশোর মতো জিনিস ব্যবহার করে কনটেন্ট তৈরি তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল। প্রকৃত সৃজনশীলতা বা মৌলিকত্ব যোগ না করেই অর্থায়নযোগ্য ছিল সেই কনটেন্ট।"
"কিন্তু এখন কনটেন্ট রূপান্তর করতে হবে, মন্তব্য যোগ করতে হবে, নিজস্বতা আনতে হবে। বাস্তবে নতুন কিছু না কিছু অবদান রাখতেই হবে। রিপোস্ট বা সামান্য এডিট করে পোস্ট করা চলবে না।"
"আমার অভিজ্ঞতা বলছে মানুষ কিন্তু মৌলিক কনটেন্ট এবং সেটা তৈরির সৎচেষ্টার সঙ্গে নিজেদের অনায়াসে জুড়তে পারেন। বিষয়টা এখন আর কনটেন্ট তৈরি বা অনুকরণেই সীমাবদ্ধ নেই। এখানে নিজস্ব স্টাইল, মানুষকে নতুন কিছু দেওয়া, তাদের হাসানো, তাদের আবেগকে ছুঁয়ে যাওয়া, মনোরঞ্জন সবকিছু জড়িয়ে রয়েছে। তা সেটা নতুন রেসিপি শেয়ার করার মাধ্যমে হোক বা ট্রেন্ড অনুসরণ করে তৈরি কন্টেটের হাত ধরে।"
"যারা অনুকরণ করতেন, তাদের কাছেও এটা সুযোগ"
কলকাতার কনটেন্ট ক্রিয়েটর নিরঞ্জন মণ্ডল একজন পরিচিত মুখ। তার তৈরি হাস্যরসাত্মক কনটেন্ট এই তরুণকে অনেকের কাছে পরিচিত মুখ করে তুলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুরাগীদের সংখ্যা মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। এই ইউটিউবার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কথায়, "এটা অরিজিনাল কনটেন্ট এবং তাদের স্রষ্টা দুজনকে রক্ষা করার জন্য একটা ভালো উদ্যোগ। যারা নিজেদের মৌলিকত্বের উপর ভিত্তি করে মানুষের মনোরঞ্জন করেন, তাদের জন্য এটা (ইউটিউবের নতুন আপডেট) জাস্টিস।"
তিনি বলছেন, "যারা ওই জাতীয় (পুনরাবৃত্তিমূলক) কনটেন্ট ব্যবহার করেন, তাদের জন্যও এটা একদিক থেকে ভাল। কারণ আয় হবে না বলে তারা অনুকরণের বদলে নিজেদের কনটেন্ট তৈরির বিষয়ে মনোনিবেশ করবেন। নতুন কিছু করার চেষ্টা করবেন।"
সূত্র-বিবিসি বাংলা

ভারতে খুলল টেসলার প্রথম গাড়ির শোরুম
অনলাইন ডেস্ক

ভারতীয় বাজারে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি (ইভি) বিক্রিতে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল টেসলা। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কম্পানিটি আজ শনিবার (১৫ জুলাই) ভারতের অর্থনৈতিক কেন্দ্র মুম্বাইয়ে প্রথম শোরুমটি চালু করেছে। টেসলার মডেল ওয়াই গাড়িটি লঞ্চের মাধ্যমে ভারতের টেসলার যাত্রা শুরু হলো। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
খবরে বলা হয়, টেসলার এই ওয়াই মডেল গাড়িটি রিয়ার-হুইল ড্রাইভ এবং লং-রেঞ্জ রিয়ার হুইল ড্রাইভ ভ্যারিয়েন্ট ভারতে বিক্রি করা হবে। টেসলা মডেল ওয়াই-এর রিয়ার হুইল ড্রাইভ ভ্যারিয়েন্টের দাম শুরু হবে ৫৯.৮৯ লক্ষ টাকা থেকে, আর গাড়ির লং-রেঞ্জ ভার্সনের দাম হবে ৬৭.৮৯ লক্ষ টাকা।
এর ফলে টেসলার ওয়াই মডেল রিয়ার হুইল ড্রাইভ ভার্সনের অন-রোড দাম দাঁড়াবে ৬১.০৭ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, গাড়িটির লং রেঞ্জ ভার্সনের অন-রোড দাম পড়বে ৬৯.১৫ লক্ষ টাকা।
এদিকে এই গাড়িতে কোনো গ্রাহক ইচ্ছা করলে ফুল সেলফ ড্রাইভিং ফিচারও পেতে পারেন। তবে তার জন্য তাকে আরো ৬ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। উল্লেখ্য, এই মডেল ওয়াই গাড়ির দাম আমেরিকায় ৩৮.৬৩ লাখ টাকা থেকে শুরু হয় (৪৪,৯০০ ডলার), চীনে ৩১.৭৫ লাখ (২,৬৩,৫০০ ইউয়ান), জার্মানিতে ৪৬.০৯ লাখ (৪৫,৯৭০ ইউরো)।
টেসলার মডেল ওয়াই রিয়ার হুইল ড্রাইভ মডেলটি ৬০কেডব্লিউএইচ এবং ৭৫কেডব্লিউএইচ ব্যাটারি প্যাক ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে ভারতে। এই গাড়ির লং রেঞ্জ ভ্যারিয়েন্টটি ৬২২ কিলোমিটার যেতে পারবে একবারের ফুল চার্জে। আর ৬০কেডব্লিউএইচ ব্যাটারির গাড়িটি এবারের ফুলচার্জে যেতে পারবে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ৭টি ভিন্ন রঙে মিলবে এই গাড়ি।

চ্যাটজিপিটির বানানো ডায়েট প্ল্যানে কমল ১১ কেজি ওজন
অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা কোডি ক্রোন (৫৪) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটজিপিটির বানানো ডায়েট প্ল্যানে মাত্র দেড় মাসে ১১ কেজি ওজন কমিয়েছেন। সারা দিনে কখন কী খেতে হবে, কখন ঘুমাতে যেতে হবে— সব কিছু সময় মেপে ছক কষে ‘ডায়েট প্ল্যান’ বানিয়ে দিয়েছিল চ্যাটজিপিটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে কোডি ক্রোনের সংসার। দিনদিন ওজন বেড়ে যাওয়ায় চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
ভোর সাড়ে ৪টায় নিয়ম মেনে ঘুম থেকে ওঠেন কোডি। সকালের কাজকর্ম সেরে ভোর ৬টা থেকে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে শুরু করেন তিনি।
সারা দিনে চার লিটার পানি পান করেন তিনি।
৪৬ দিন আগে তার ওজন ছিল ৯৫ কেজি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নির্ধারণ করা তালিকা অনুসরণ করে এক ধাক্কায় তার ওজন কমে যায় ১১ কেজি। বর্তমানে তার ওজন ৮৪ কেজি।