<p>বিয়ের পর আবার কাজে নিয়মিত হচ্ছেন মৌসুমী হামিদ। তাঁর অভিনীত ‘নয়া মানুষ’ কোরবানির ঈদে মুক্তির মিছিলে। লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ।</p> <p><strong>ধারাবাহিকে ফিরছেন</strong><br /> মাঝখানে নতুন কোনো ধারাবাহিক হাতে নেননি মৌসুমী হামিদ। ‘যাপিত জীবন’, ‘রঙ বাজার’ ও ‘নয়া মানুষ’—একসঙ্গে এই তিনটি ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ফলে একের পর এক ধারাবাহিকে অভিনয়ের প্রস্তাব এলেও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এখন তিনটি ছবিরই কাজ শেষ। তাই নতুন ধারাবাহিকে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এরই মধ্যে এটিএন বাংলার ‘লাভরোড’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। শিগগিরই শুরু করবেন মাছরাঙা টেলিভিশনের আরেকটি ধারাবাহিক। মৌসুমী বলেন, ‘শুরু থেকে একক নাটকের পাশাপাশি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করাটা উপভোগ করতাম। বড় ইউনিট, লম্বা সময় ধরে শুটিং—সব মিলিয়ে দারুণ সময় কাটে। আমার কিছু প্রিয় নির্মাতাও আছেন। প্রথম থেকেই তাঁদের সঙ্গে কাজ করি। মাঝখানে তিনটি ছবির শুটিংয়ের কারণে নাটকে সময় দিতে পারিনি। এখন আবার শুটিং শুরু করেছি।’</p> <p><strong>বিয়ের প্রথম বছর কম কাজ</strong><br /> বিয়ে তো জীবনে বারবার হয় না—এই কথায় বিশ্বাসী মৌসুমী হামিদ। সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে কথাটাও মানেন তিনি। তাই বিয়ের প্রথম বছর খুব কম কাজ করছেন। মৌসুমী বলেন, ‘লোকে বলে, একটা সংসার কত দিন টিকবে বা আজীবন থাকবে কি না, সেটা নির্ধারিত হয় বিয়ের প্রথম বছরই। আমিও সেটা বিশ্বাস করি। এই সময়ে দুজন মানুষ একে অপরকে ভালোভাবে বুঝতে পারে। সংসারে মন দিতে আমি বিয়ের পর থেকে খুব বেছে বেছে কাজ করছি। সংসারটা সামলে রাখাই আমার প্রথম দায়িত্ব। আমি কে, কত বড় অভিনেত্রী, সেটা বড় কথা নয়। আমি একজন স্ত্রী, একজন পুত্রবধূ, সেটাও মাথায় রাখতে হয়। পরিবারটা সুন্দরভাবে গুছিয়ে দ্রুত কাজে ব্যস্ত হতে পারব বলে আশা করছি।’</p> <p><strong>‘নয়া মানুষ’ কোরবানির ঈদে</strong><br /> সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। ছবিটি কোরবানির ঈদে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নির্মাতা। এরই মধ্যে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়ারও প্রস্তুতি নিয়েছেন। খবরটি জানার পর মৌসুমী একদিকে যেমন খুশি, তেমন খানিকটা চিন্তায়ও আছেন। ঈদে এবার ১২টির বেশি ছবি মুক্তির জন্য প্রস্তুত। আছে শাকিব খান, আরিফিন শুভ, সিয়াম আহমেদের মতো তারকাদের ছবি। সেখানে ‘নয়া মানুষ’ কতটা দর্শক টানতে পারবে তা নিয়ে চিন্তা তো আছেই। তবে ছবির গল্প, গান আর নির্মাণের কথা ভেবে আবার আত্মবিশ্বাসও পাচ্ছেন মৌসুমী। বলেন, ‘ঈদ বা অন্যান্য উৎসবে মানুষ খাঁটি বাংলার ছবি খুব পছন্দ করে। পরিবারের গল্প, দেশের গল্প, মাটি ও মানুষের গল্প হলে যে কাউকেই টানে। আমাদের ছবিটা মানুষের ও মাটির কথা বলবে। এখন দরকার জোর প্রচারণা। আমি নির্মাতাকে সেটা বলেছিও। দর্শকদের কানে ছবিটির কথা পৌঁছে দিতে পারলেই হলো। তাহলে সাড়া পাওয়া যাবে।’</p> <p><strong>ঈদে থাকবেন ছোট পর্দায়ও</strong><br /> শুধু বড় পর্দায় নয়, ঈদে ছোট পর্দার নাটকেও পাওয়া যাবে মৌসুমীকে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি একক নাটকের শুটিং শেষ করেছেন। হাতে আছে আরো কয়েকটি নাটকের প্রস্তাব। সেই সঙ্গে ওয়েব ছবি নিয়েও কথা চলছে। ব্যাটে-বলে মিলে গেলে ওটিটি প্ল্যাটফরমেও দেখা যেতে পারে মৌসুমী হামিদকে। মৌসুমী বলেন, ‘ঈদ মানে আমরা একটা সময় টিভি চালু করে বসে থাকতাম নাটক দেখার জন্য। পাঁচ দিনব্যাপী পাঁচজন নির্মাতার নাটক দেখা যেত চ্যানেলগুলোতে। এখন আর সেটা নেই। টিভি চ্যানেলের চেয়ে ইউটিউবেই নাটক বেশি মুক্তি পাচ্ছে। শুনেছি এখন নাকি একেকটা ঈদে পাঁচ-ছয় শ নাটক নির্মিত হয়। এটা একদিক থেকে ভালো, সবাই কাজ পাচ্ছে। তবে মানের দিকটাও খেয়াল রাখা দরকার। আমি সব সময় গল্প, নির্মাতা ও আমার চরিত্রের দিকে নজর দিই। সে কারণে নাটকের সংখ্যাটাও কম থাকে। কারণ আমি ধীরে চলো নীতিতে বিশ্বাসী।’</p>