<article> <p>এটা লম্বা দৌড়ের নাটক। পাঁচ বছর পরেও দর্শক এই নাটকের নাম সার্চ দেবেন ইউটিউবে। সেদিনও নাটকটি তাঁদের কাছে নতুন লাগবে। আমরা তো একের পর এক নাটকে অভিনয় করি। কিন্তু সব নাটক তো মনের মতো হয় না।</p> </article> <article> <p><strong>‘পথে হলো দেরি’ এখন ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে। দর্শকদের কাছে এতটা সাড়া পাবেন ভেবেছিলেন?</strong><br /> আমরা যখন নাটকটির পাণ্ডুলিপি পড়েছিলাম, তখন মনে হয়েছিল ভালো কিছু হবে। তবে সেটা মাত্র তিন দিনেই বুঝতে পারব আশা করিনি। প্রথম দুই দিনেই ৫০ লাখের বেশি মানুষ নাটকটি দেখেছেন! শুটিংয়ের সময়ও মনে হয়েছে সবাই মিলে একটা ভালো কাজ করছি, এতেই শান্তি। দর্শক যদি পছন্দ করেন তাহলে ভালো লাগবে, কষ্টটা সার্থক হবে। তবে দর্শকদের মন্তব্য পড়ে সত্যিই খুব খুশি লাগছে। আমাদের টিম পেরেছে দর্শকদের মন জয় করতে।</p> </article> <article> <p><strong>নাটকটির দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট।</strong></p> </article> <p>দীর্ঘ এই নাটকে দর্শক বিরক্ত হবে কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ ছিল না?</p> <p>আমরা সম্পাদনার টেবিলে নাটকটি দেখেছিলাম। রাফ কাটের সময়ই আমাদের ভালো লেগেছিল। পরতে পরতে ছিল ফান, ড্রামা, সাসপেন্স। তা ছাড়া দৃশ্যগুলোও ছিল দৃষ্টিনন্দন। কোনোভাবেই বিরক্ত হওয়ার উপায় ছিল না।</p> <article>তখনই মনে হয়েছে, আমরা নাটকটির টিম মেম্বার হয়েও যদি বিরক্ত না হই, তাহলে দর্শক এক বসাতেই নাটকটি শেষ করতে পারবেন, চিন্তার কারণ নেই। হয়েছেও তাই। <p><strong>এত বড় নাটক, কত দিন শুটিং করেছেন?</strong><br /> আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি সময় এই নাটকে দিয়েছি। টানা ১১ দিন শুটিং করেছি। এর আগে সর্বোচ্চ সাত দিন শুটিং করেছিলাম একটি নাটকের। শুধু আমি নই, অপূর্ব ভাইয়াও ১১ দিন শুটিং করেছেন। তবে আমরা কেউ বিরক্ত হইনি। নির্মাতা সৌখিন ভাই এক সেকেন্ডের শটও মনের মতো না হলে আবার নিয়েছেন। আমরাও উৎসাহ নিয়ে দিয়েছি। কারণ ততক্ষণে বুঝে গেছি একটা মনের মতো কাজ হচ্ছে।</p> <p><strong>আজকাল তো অনেক নাটক এক দিনে ৫০ লাখ ভিউ পায়, তারপর আবার হারিয়েও যায়। ‘পথে হলো দেরি’ নিয়ে তেমন কোনো সংশয় আছে নাকি?</strong><br /> একদম না। এটা লম্বা দৌড়ের নাটক। পাঁচ বছর পরেও দর্শক এই নাটকের নাম সার্চ দেবেন ইউটিউবে। সেদিনও নাটকটি তাঁদের কাছে নতুন লাগবে। আমরা তো একের পর এক নাটকে অভিনয় করি। কিন্তু সব নাটক তো মনের মতো হয় না। কিছু নাটক হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এটা তেমনই একটা নাটক।</p> <p><strong>বছর তো শেষের পথে। শেষ কোন শুটিং করছেন?</strong><br /> হাসান রেজাউল ভাইয়ের নির্দেশনায় একটা ভালোবাসার নাটকের শুটিং করছি। নাম এখনো ঠিক হয়নি। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নাটকটির শুটিং করব। আমার সঙ্গে আছেন জোভান ভাই। এরপর নতুন বছরের পরিকল্পনা।</p> <p><strong>এখন তাহলে জোভানের সঙ্গেই বেশি নাটক করছেন?</strong><br /> গত এক মাসে আমরা ১০টির বেশি নাটকের শুটিং করেছি। এমনকি আজ [শুক্রবার] সাগর জাহান ভাইয়ের পরিচালনায় জোভানের সঙ্গে ‘সুঁই’ ও মীর আরমান হোসেনের ‘বৃষ্টিতে দেখা’ নামের দুটি নাটক প্রকাশিত হবে। পাশাপাশি তৌসিফ মাহবুব ভাইয়ের সঙ্গে তিনটি নাটকের শুটিং করেছি। খায়রুল বাশারের সঙ্গেও দুটি নাটকের শুটিং হয়েছে। শুধু ইয়াশ রোহান ভাইয়ের সঙ্গে হঠাৎ কাজ কমে গেছে। তিনি দুই মাসের জন্য একটা চলচ্চিত্রের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। সেটা শেষ হয়ে গেলে তাঁর সঙ্গেও একাধিক নাটকে কাজ হবে।</p> <p><strong>অপূর্বর সঙ্গে একটা ওয়েব ছবি করেছিলেন...</strong><br /> দীপ্ত প্লেতে ছবিটি মুক্তি পাবে নতুন বছরেই। গল্পটা আমার খুব প্রিয়। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে।</p> </article>