<p>শাকিব খান জন্মগ্রহণ করেন ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায়। তার বাবা আব্দুর রব ছিলেন একজন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং মাতা নূরজাহান গৃহিণী।</p> <p>পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এক বোন ও এক ভাই। তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা।  আবুল খায়ের বুলবুলের পরিচালনায় শাকিবের প্রথম ছবি ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’। শাকিব খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালের ২৮ মে। ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন চলচ্চিত্রের আরেক অভিনয় শিল্পী মৌসুমীর ছোট বোন ইরিন।</p> <p>শাবিকের ভাষ্য, ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হব। কারণ আমি সায়েন্সের ছাত্র ছিলাম। সবসময় বুকে লালন করতাম ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করব। এর বাইরে যে অপশনটি আমার মধ্যে কাজ করত তা হলো ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। খুব পছন্দ ছিল এই পেশাটিও। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার পর হঠাৎ করেই যেন ছোটবেলার স্বপ্নগুলো হারিয়ে যেতে থাকল।</p> <p>যদিও তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আফতাব খান টুলু পরিচালিত ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ ছবির মাধ্যমে। ছবিতে তার নাম ছিল ‘মশাল’।</p> <p>ছবি হিসেবে ‘অনন্ত ভালবাসা’ খুব একটা সফল না হলেও নায়ক হিসেবে শাকিব খান সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বী সকল নায়কের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান। প্রথম ছবি মুক্তি পাওয়ার পর শাকিবের উত্তেজনা ছিল চরমে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে যান হলে।</p> <p>ছবি শেষ হওয়ার পর মা তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। ছবি সফল না হলেও মায়ের অনুপ্রেরণা তাঁকে উৎসাহ দেয়। কেননা পাড়া প্রতিবেশি, আত্মীয় স্বজন কেউই শাকিবের অভিনয়ে আসাটাকে ইতিবাচকভাবে নেননি। কিন্তু মায়ের সেই উৎসাহ, অনুপ্রেরণাই আজ শাকিবকে দুই বাংলার শীর্ষ নায়কের আসনে বসিয়েছে।</p>