<p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইস্পাহানী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ রিয়াজ হত্যার ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন  আহমেদ ও হযরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নালকে প্রধান আসামি করে ৩১০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। নিহতের চাচা মো. রমজান আলী কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এ হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২০০ জনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।</p> <p>মামলার এজাহারে বাদী বলেন, গত ১৯ জুলাই কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের আরশিনগর এলাকায় সৈকত ফার্মেসির সামনের রাস্তার ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন করছিলেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের নির্দেশে ও হযরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নালের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে লাঠিপেটা ও গুলি চালানো হয়। এ সময় একটি গুলি বাদীর ভাতিজা ইস্পাহানী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রিয়াজের মাথায় লাগে। পরে রিয়াজকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।</p> <p>বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর পুলিশের কর্মবিরতি থাকার কারণে থানায় এসে এজাহার করতে বিলম্ব হয় বলেও লিখিত বক্তব্যে জানান তিনি।</p> <p>এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদুর রহমান বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে ৩১০ জনের নামে ও আরো ২০০ জন বেনামে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।</p>