<p>ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ২১ মাসে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের ১১৬টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা করা হলেও চুরি প্রতিরোধে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ (পিডিবি)-র আওতাভুক্ত গফরগাঁও ডিভিশনের সংযোগ লাইন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে টোক পর্যন্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার জনসংযোগ লাইন সম্প্রসারণের সময় ছোট বড় ট্রান্সফরমার স্থাপন করতে হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি সময় পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে রাতের অন্ধকারে প্রতিটি পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ২৫০ কেবিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি, তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ২০০ কেবিএর তিনটি, তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১০০ বেবিএর আটটি, ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ৫০ কেবিএর একটিসহ মোট ২৪টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। </p> <p>অন্যদিকে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর গফরগাঁও জোনাল এরিয়ার আওতায় গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার। পল্লী বিদ্যুতের বেশির ভাগ ট্রান্সফরমার সেচকাজে ব্যবহৃত হয় বলে মাঠে নির্জন স্থানে স্থাপন করা হয়। ২০২৩ সালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫, ১৫, ১০ ও ৫ কেবিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ৬১টি ট্রান্সফরমার এবং চলতি বছর একই ক্ষমতাসম্পন্ন ৩১টিসহ গত পৌনে দুই বছরে ৯২টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল ট্রান্সফরমারের খোল ফেলে তামার তারসহ ভেতরের মূল্যবান যন্ত্রাংশ নিয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। তবে ট্রান্সফরমার চুরি প্রতিরোধে বিকল্প না থাকায় একের পর এক ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যাচ্ছে।</p> <p>গফরগাঁও বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘সংঘবদ্ধ চোর চক্র রাতের অন্ধকারে পিকআপ নিয়ে দ্রুত ট্রান্সফরমার খুলে নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় আমরা নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ ডায়েরি করি। চুরি প্রতিরোধের কোনো বিকল্পও আমাদের কাছে নেই।’</p> <p>ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর গফরগাঁও জোনাল অফিসের ডিজিএম (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. জিয়াউর রহমান খান বলেন, পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারগুলো ছোট ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কৃষিজমিতে স্থাপন করা হয়। ফলে রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যায়। এতে সেচকাজ ব্যাহত হয়। একাধিক ঘটনায় স্থানীয় লোকজন চোর হাতেনাতে ধরে থানায় দিলেও কয়েক দিনের মধ্যেই বেরিয়ে যায়।</p>