<p>কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। সৃষ্ট বন্যায় রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা এ তিন উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। আমন ধান ও বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ডুবে আছে বন্যার পানিতে। দীর্ঘ সময় ডুবে থাকলে এসব ফসলের মারাত্মক ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা। একই সাথে বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরের মাছ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বন্যায় রেলের ক্ষত মেরামতে লাগবে এক বছর!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/18/1726637866-a8845775cfbd74361b3b616297d260c5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বন্যায় রেলের ক্ষত মেরামতে লাগবে এক বছর!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/18/1426538" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রমতে, রবিবার ভোর ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৭ মিটার। যা বিপৎসীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে পানি। দুপুর ৩টার তথ্য অনুযায়ী পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০৭ মিটার। যা বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে। এদিকে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে দুপুর ৩টার তথ্যঅনুযায়ী বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পানির হিস্যা আদায়ে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই আলোচনার উদ্যোগ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727294780-aa787d1ea6fe72f2a20f67456482c585.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পানির হিস্যা আদায়ে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই আলোচনার উদ্যোগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2024/09/26/1429025" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের বাগেরহাট এলাকার মকসু মিয়া বলেন, হামার গ্রামের সবারে বাড়িত হাটু পানি। বাচ্চা আর বুড়াদের (বৃদ্ধ) নিয়ে কষ্টে আছি। শুক্রবার থাকি খালি পানি বাড়েচোল, আল্লায় জানে এ পানি কয়দিন থাকে। আধাপাকা ধানও ঢুবি গেইছে।</p> <p>কাউনিয়া উপজেলার গদাই গ্রামের মনসুর আলী বলেন, পানি বাড়লে আমরা আতঙ্কে থাকি। কারণ পানি নামার সাথে সাথে শুরু হবে ভাঙন। তাই আমাদের পানি বাড়ার থেকে বেশি ভয় ভাঙনে।</p> <p>পাউবোর রংপুর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, পানি বাড়লেও এই পানি নেমে যাবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নদীর পানির সমতল হ্রাস পেয়ে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।</p> <p>তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তিস্তা খনন, সংরক্ষণ ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই।</p>