<p>নোয়াখালীতে টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণ আর ফেনীর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হয়েছে। জেলায় এখন পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ২১ লাখ মানুষ। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। অনেকের কাটছে নির্ঘুম রাত। </p> <p>সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের প্রধান সড়ক গুলো আবারও অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। একই সাথে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামগুলোতে বেড়েছে পানির উচ্চতা। জেলায় ৮২৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ১ লক্ষ ৫৬ হাজার পানিবন্দী মানুষ আছে আশ্রয় গ্রহণ করেছে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে।</p> <p>এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঝড়ো বাতাস বেড়েছে। এদিকে জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি ও সড়ক তলিয়ে গেছে। স্কুলে ঢুকে পড়েছে পানি। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার ও পানির সংকট। </p> <p>নোয়াখালী জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। উজানের পানিতে বন্যার পানি বাড়েছে।   </p> <p>জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে আটটি উপজেলার মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব উপজেলায় ইতোমধ্যে ৮২৬ টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। </p> <p>নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, বন্যার্তদের মধ্যে ত্রান সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। আমরা সবাইকে সহযোগিতা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।</p>