<p style="text-align:justify">ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যেতে চেয়েছিলেন ফেনী-২ আসনের সদ্যঃসাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর সহযোগী মো. ফরিদ মানিক প্রকাশ পিএস মানিক। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে যেতে দেয়নি ইমিগ্রেশন পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা ইমিগ্রেশন পুলিশ কার্যালয়ে বসিয়ে রেখে তাকে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">পরে পিএস মানিকের বিরুদ্ধে ফেনী থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। ওই হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মানিক ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে।</p> <p style="text-align:justify">ফেনী, আখাউড়া থানা ও ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে আসেন মো. ফরিদ মানিক। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। দিনভর ইমিগ্রেশন ইনচার্জের কক্ষে বসিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তার বিষয়ে অবগত করেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। এক পর্যায়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">ফেনীর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুহুল আমীন জানান, গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল এলাকায় সংঘর্ষের সময় মো. সবুজ নামের এক ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ১২ আগস্ট সোমবার রাতে নিহত সবুজের ভাই মো. ইউসুফ বাদী হয়ে ৬৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় মোহাম্মদ ফরিদ মানিককে আসামি করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">আখাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন জানান, ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ফেনী সদর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থাকায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।</p>