<p>সারা দেশের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভকারীরা সরকার পতন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সংবাদে বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই কর্মসূচি পালন করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।</p> <p>নাঙ্গলকোট থানা, নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি, সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রতিকৃতি, উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালুর বাড়ি, পৌর মেয়র আব্দুল মালেকের বাড়ি, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, নাঙ্গলকোট পোস্ট অফিস, পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতাল, আল্ট্রা মডার্ন হাসপাতাল, লোটাস চত্বর, বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪, বিসমিল্লাহ মৎস্য হ্যাচারি, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খুরশিদা আক্তার লাভলীর বাড়ি, ছাত্রলীগ নেতা ওয়ায়েদুল হকের বাড়ি এবং বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।</p> <p>বিক্ষোভকারীরা আসার সংবাদ টের পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালুর একটি প্রাইভেট কার, একটি পিকআপ, দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে থাকা সব আসবাবপত্র ও মৎস্য হ্যাচারির সব মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। জোড্ডা পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আফছারের চৌমুড়ী বাজারে সাজেদা সুপারমার্কেট ভাঙচুর করে তারা। </p> <p>উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খুরশিদা আক্তার লাভলী বলেন, তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিনকে মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা।</p>