<p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে ফেনীর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের লাশ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>নিহদের মধ্যে তিনজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী বলে জানা গেছে। তারা হলেন ফেনী সরকারী কলেজের অনার্স এর ছাত্র ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, ফেনী সদরের দক্ষিণ কাশিমপুরের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শিহাব ও ফেনী সদরের ফাজিলপুরের কলাতলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম। </p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর ১টার দিকে ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা মহাসড়কের মহিপালে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় ট্রাংক রোড থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের প্রায় এক হাজার কর্মী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহিপালে গিয়ে তাদের ধাওয়া করলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাংবাদিকসহ ৪৫ থেকে ৫০ জন আহত হন। আহতদের বেশ কয়েকজনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্রাবণ, শিহাব ও সাইদুলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। </p> <p>আহতদের মাঝে বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, চ্যানেল ২৪ এর দিলদার হোসেন স্বপন, ক্যামেরা পারসন কামরুল, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি মো. জাফর উল্যাহ, ইনডিপেনডেন্ট টিভির ক্যামেরা পারসন জয়সহ ২০ থেকে ২২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। </p> <p>এদিকে বিভিন্ন এলাকা বেলা ১২টার পর থেকে বিকেল ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ব্যাপক টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়। এছাড়া শহরের পৃথক পৃথক জায়গায় সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। </p> <p>ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমানের কাছে হতাহতের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।</p>