<p style="text-align:justify">কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার ঘটনায় জামালপুরের চার থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন এবং জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির হারুন অর রশীদসহ দুই হাজার তিন শ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে জামালপুর সদর থানায় পাঁচ, ইসলামপুরে ১, সরিষাবাড়ীতে ১, বকশীগঞ্জ ১ এবং দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় ১টি মামলা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান বাবু বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া বাকি মামলার বাদী হয়েছে পুলিশ। মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। </p> <p style="text-align:justify">এদিকে জামালপুর সদর থানায় দায়ের করা পাঁচটি মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- জামালপুর শহর বিএনপির সহসম্পাদক মনির হোসেন ফকির (৪৪), শহর তাঁতীদলের সদস্যসচিব ফরাস উদ্দিন লিটন (৪৭), যুবদলকর্মী রাসেল (৩৮) এবং ছাত্রদল নেতা হাসিদুর রহমান (২৫)। </p> <p style="text-align:justify">এদিকে ইসলামপুর, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া দেওয়ানগঞ্জে উপজেলা জামায়াতের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">জামালপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘আমি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। আমাকেও মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, জামালপুরে ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছিল। আওয়ামী লীগ ওই আন্দোলন প্রতিহত করতে গত শুক্রবার দুপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এ সময় দলের এক কর্মীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। উল্টো বিএনপির শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করছে। </p> <p style="text-align:justify">জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্ব্ত কবির বলেন, গত কয়েক দিনের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুর করে নাশকতা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে জামালাপুর সদর থানার পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। </p>