<p>চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের দুই মামলার বিচারকাজ ৯ বছরেও শেষ হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, চলতি বছরেই মামলা দুটি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চলছে।</p> <p>এদিকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন মামলার প্রধান আসামি নূর মোহাম্মদসহ ৯ জন। ১০ আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন শুধু গোলাম মোস্তফা সোহেল।চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটির বিচারকাজ চলছে।</p> <p>চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আব্দুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, কোকেন চোরাচালানের ঘটনায় মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।</p> <p>২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা একটি কনটেইনার জব্দের পর সিলগালা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২৭ জুন কনটেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। চারটি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ।</p> <p>মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তাঁর ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খানজাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।</p>