<p>পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে ২০ বছরের পুরনো একটি রাস্তা খনন করে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম কবর। এর ফলে ওই রাস্তায় লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হঠাৎ করে জোড়া কবর কিভাবে ওই রাস্তার মাঝে হলো এ সব নিয়ে নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।</p> <p>সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের কুনকুনিয়া সর্দারপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এই ঘটনা ঘটে। চলাচলের জন্য আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে নিয়াম আলীর বাড়ি পর্যন্ত ওই কাচা রাস্তাটি তৈরি করেছিলেন গ্রামবাসী। </p> <p>স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মাদার বাঁশ খেলা নিয়ে হোসেন আলীর ছেলে আব্দুর রশিদের সঙ্গে আজগর আলীর ছেলে হবিবর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। তারপর থেকেই বিভিন্নভাবে রশিদের বাড়ির সেই রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে থাকেন হাবিবুর রহমান। কিন্তু গ্রামবাসির চাপে সফল হতে না পেরে রাস্তা বন্ধ করতে প্রথমে বেড়া দেন। পরে ওই রাস্তার ওপর কৃত্রিম কবর তৈরি করেন তিনি।</p> <p>রাস্তার মাঝে কবর তৈরি দেখে এলাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে চলতে থাকে আলোচনা সমালোচনা। এর একপর্যায়ে এলাকার জনগণ একাত্র হয়ে কথিত ওই কবরের মাটি খুঁড়ে দেখতে পান সেখানে শুধুমাত্র কয়েকটি ইট রাখা আছে। </p> <p>এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমানের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘এটা আমাদের পারিবারিক কবর। কবরের জায়গা একটু এদিক সেদিক হতে পারে। তবে রাস্তাটি পুরোনো না, নতুন হয়েছে।’</p> <p>স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, ‘আমরা খবরটি শুনতে পেয়ে চেয়ারম্যান সাহেবকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে কবর খুঁড়ে ফেলি। কিন্তু ইট ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি। পরে দুইপাশ থেকে রাস্তার জায়গা বের করে একটি চিহ্ন দিয়ে এসেছি।’</p> <p>মাইজবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন জানান, মূলত মাদার খেলাকে কেন্দ্র করে রশিদের সঙ্গে হাবিবের দ্বন্দ্ব। রাস্তা বন্ধ করতেই হাবিব কবর নাটক সাজিয়েছে। থানা পুলিশও বিষয়টি দেখে গেছে। পরে কথিত কবর সরিয়ে ফেলা হয়েছে। </p> <p>কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল মজিদ বলেন, ‘কবরটি দেখে এসেছি। এ বিষয়ে হাবিবকে সতর্ক করা হয়েছে। না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে’<br />   <br /> স্থানীয়রা জানান, শুধুমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতেই হাবিবুর রহমান এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, এ রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের যাতায়াতে সমস্যা হবে। তাই রাস্তাটি সচল রাখতে তারা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।<br />  </p>