<p>সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে সংঘর্ষে এক কৃষক ও এক কিশোরের মৃত্যুর পর ফরহাদ হোসেন (৪০) নামের আরো এক কৃষক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল তিনজনে।</p> <p>নিহত কৃষক ফরহাদ হোসেন উপজেলার গালা ইউনিয়নের চরবর্নিয়া উত্তর পাড়ার মৃত রাজ্জাক সেখের ছেলে এবং আখের সেখ গ্রুপের সমর্থক। গতকাল বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরহাদের মৃত্যু হয়।  </p> <p>এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে চরবর্নিয়া উত্তর পাড়ার আখের সেখ ও দক্ষিণ পাড়ার সায়েম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সায়েম গ্রুপের সমর্থক খোদাবক্স মোল্লার ছেলে কৃষক সানোয়ার হোসেনের (৩২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত ৪০ জন আহত হয়।</p> <p>আহতদের মধ্যে পাবনায় চিকিৎসাধীন থাকাকালে বুধবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে কিশোর তামিম হোসেন গালিবের (১৫) মৃত্যু হয়। গালিব চরবর্নিয়া দক্ষিণ পাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে এবং সায়েম গ্রুপের সমর্থক।</p> <p>শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত ফরহাদ হোসেন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিল। বুধবার বিকেলে সে মারা যায়। এরপর সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা মরদেহ সিরাজগঞ্জ নিয়ে আসে। বুধবার সন্ধ্যায় মরদেহ শাহজাদপুর থানায় এনে পুলিশকে দেখিয়ে নিয়ে গেছে স্বজনরা। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সায়েম গ্রুপের দুজন এবং আখের গ্রুপের একজন মিলে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কৃষক ফরহাদ ও কিশোর গালিব নিহতের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে শুনেছি।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘কৃষক সানোয়ার হোসেন নিহতের ঘটনায় তার মা আনতিরি বেগম বাদী হয়ে গত বুধবার সকালে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’</p>