<p>রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হকের (২৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে নেত্রকোণার গ্রামের বাড়িতে। </p> <p>সোমবার (১০ জুন) সকালে গ্রামের ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মনিরুলের দাফন সম্পন্ন হয়।</p> <p>নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুরে গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হকের ছেলে মনিরুল রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় সহকর্মীর গুলিতে নিহত হন। মনিরুলরা তিন ভাই তিন বোন। সবার ছোট মনিরুল। তাঁর স্ত্রী তানিয়া আক্তার তন্বী দুই বছরের শিশু সন্তান তাকিকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন। মনিরুলের বৃদ্ধা মা দেলোয়ারা হক ছেলের শোকে কান্নায় বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কাঁদছেন মনিরুলের ভাই-বোন,স্বজনেরা। মনিরুলের দুই বছর বয়সী ছেলে তাকি কিছুই বুঝতে পারছে না। স্বজনেরা মনিরুলের হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।</p> <p><img alt="555" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/05-11-2023/monir.jpg" /></p> <p>নিহতের স্ত্রী তানিয়া আক্তার তন্বী বলেন, ‘সবার সাথে মিলেমিশে আমার স্বামীর আর ঈদ করা হলো না। আজ সোমবার (১০ জুন) ঈদের ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসার কথা ছিল। একসঙ্গে সবাই মিলে ঈদ করবো।’ </p> <p>বাবা, বাবা বলে চিৎকার করা মনিরুলের দুই বছরের শিশু সন্তান তাকির কান্না কেউই থামাতে পারছেন না। তার কান্না দেখে বাড়িতে ভিড় করা মানুষের অনেকের চোখ থেকে পানি ঝরছে।</p> <p>আটপাড়া থানার ওসি তাওহীদুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। ঘাতক যেই হোক না কেন তার বিচার নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করবে।’                 </p>