<p>ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বালিয়াতলী গ্রামে নির্মীয়মাণ একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ওই ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম।</p> <p>রবিবার দুপুরে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হতে থাকে। জোয়ারের পানিতে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বালিয়াতলীতে নির্মীয়মাণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৪০ মিটার ভেঙে বালিয়াতলী, উত্তর ঘোপখালী ও পশুরবুনিয়া গ্রাম তলিয়ে গেছে। এতে ওই তিন গ্রামের ঘরবাড়ি ও পুকুর তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। </p> <p>এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুনভাবে নির্মাণ করা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানিতে ঘরবাড়ি, পুকুরসহ সব কিছু তলিয়ে গেছে। আজ দুপুরে রান্না পর্যন্ত করতে পারেননি তারা। তাদের অভিযোগ, দায়সারাভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় অল্প দিনের মধ্যেই নদীতে বিলীন হয়ে যায়।</p> <p>খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল হুসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। </p> <p>ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পায়রা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাহিরে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে কাজ করছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ </p> <p>বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব মুঠোফোনে বলেন, পায়রা নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় নির্মীয়মাণ বাঁধটির একটি অংশ ভেঙে যায়। বাঁধটি সংস্করণে পাউবো দ্রুত কাজ শুরু করেছে।</p>