<p style="text-align: justify;">কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইউনূছ ভূঁইয়া আবারো উপজেলাপরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি টানা তিনবার চেয়ারম্যান হলেন।</p> <p style="text-align: justify;">বুধবার (৮ মে) উপজেলা নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারিভাবে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। </p> <p style="text-align: justify;">এ উপজেলায় তিনজন প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইউনূছ ভূঁইয়া আনারস প্রতীক নিয়ে ৮৩ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি শম্ভু সাহা ‘কাপ-পিরচ’ প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৪৩০ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র (রব) বিকাশ চন্দ্র সাহা দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার২৩০ ভোট পেয়েছেন।</p> <p style="text-align: justify;">এ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী তালা প্রতীক নিয়ে ৯০ হাজার ২০২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলমগীরহোসেন উড়োজাহাজ প্রতীক পেয়েছেন ৭ হাজার ৪০৮ ভোট। মহব্বত আলীও টানা তিনবার ভাইস চেয়ারম্যন হলেন।</p> <p style="text-align: justify;">মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান পড়শী সাহা পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে ৮৪ হাজার ৪৪৯ ভোট পেয়েবেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিতা সাহা প্রজাপতি প্রতীক পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৮৮ ভোট।</p> <p style="text-align: justify;">এবার এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৭ জন। একটি পৌরসভা এবং ৮টি ইউনিয়নে মোট ৭৮টিকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p style="text-align: justify;">প্রসঙ্গত,  ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি লাকসাম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন ৬১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৯টির ফলাফলে বিএনপির প্রার্থী মো. আবদুর রহমান বাদল ৭৪০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। পরে একই বছরের ১০ মার্চ স্থগিত দুইকেন্দ্রের ভোট হয়। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইউনূছ ভূঁইয়া জয়ী হন। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চের নির্বাচনে এই উপজেলায়আওয়ামী লীগ–মনোনীত চেয়ারম্যান মো. ইউনূছ ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেপড়শী সাহা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।</p> <p style="text-align: justify;">স্থানীয় একাধিক লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে শম্ভু সাহা মূলত ডামি প্রার্থী। স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি মো. ইউনূছ ভূঁইয়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। শম্ভু সাহা ও বিকাশ চন্দ্র সাহার এলাকায় তেমন কোনো প্রচারণাও ছিল না। নির্বাচনের দিনেও তাদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। </p> <p style="text-align: justify;">ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও পরাজিত অপর প্রার্থীরা ছিলো ডামি। তাদেরও কোনো প্রচারণা ছিল না। </p> <p style="text-align: justify;">স্থানীয় দৌলতগঞ্জ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার ভোটের ধরন পরিবর্তন করা হয়েছে। আসলে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত সবাই ছিল ডামিপ্রার্থী। তারা বলেন, যদিও এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে নির্বাচিতরা সকলেই দলের নির্দিষ্ট প্রার্থী ছিলেন।</p> <p style="text-align: justify;"><br />  </p>