<p>বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা; কয়েক দিন ধরে জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।</p> <p>এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ধানের ক্ষেতে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোক আক্রান্ত হন তিনি। এরপর তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।</p> <p>নিহত জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। এ ছাড়া তিনি ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  </p> <p>এদিকে দাবদাহের কারণে জেলা প্রশাসন থেক জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। জনসাধারণকে সতর্ক করতে জেলার চার উপজেলায় হিট অ্যালার্ট জারির মাইকিং করা হচ্ছে। গরমে স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা।</p> <p>বাড়ির বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি বা ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে প্রচার চালানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। একই সঙ্গে চোখে-মুখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিতে বলা হচ্ছে। গরমে অস্বস্তি কিংবা অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। </p> <p>দামুড়হুদা কুড়লগাছি ইউপির চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন জানান, নিহত জাকির সকাল ৭টার দিকে ধানের জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মাঠে থাকা কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। </p> <p>কয়েক দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বইছে চুয়াডাঙ্গায়। সর্বশেষ আজ শনিবার বেলা ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।</p> <p>চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ।  বেলা ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ৩টায় তাপমাত্রার পারদ আরো বেড়ে দাঁড়ায় ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। </p> <p>তীব্র দাবদাহ ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। হাসপাতালে বাড়ছে পানিবাহিত ও গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশির ভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে গোটা জেলা। দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা।</p>