<p>চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে এবারও আগাম ঈদ উদযাপন হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল ঈদুল ফিতর পালন করবে এসব গ্রামের মানুষ। গত ১১ মার্চ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরো কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এই ধর্মীয় উৎসবে শামিল হচ্ছেন।</p> <p>চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, এই দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তার পর থেকে সেই ধারা দেশের বিভিন্ন দরবার শরিফের পীরের অনুসারী এবং সচেতন মুসুল্লিরা পালন করছেন।</p> <p>এদিকে সাদ্রা দরবার শরিফে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ঠিক একই সময় জেলার ফরিদগঞ্জ টোরামুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদেও অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছর রোজা পালন করছেন আনোয়ার হোসেন মামুন মুন্সি। তিনি জানান, তার পরিবারের সবাই সারা দেশে অন্যদের চেয়ে এভাবে আগাম রোজা পালন করছেন। একই সঙ্গে ঈদও উদযাপন করবেন।</p> <p>মসজিদ কমিটির সভাপতি শামছুল আমিন জানান, ঈদের প্রস্তুতি নিতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। </p> <p>বিগত ১৯২৮ সালে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন তারা।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি এবং মতলব উত্তর উপজেলা মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত গ্রামে প্রায় শতাব্দী কাল ধরে এভাবে রোজা এবং ঈদ উদযাপন হচ্ছে।</p>