<p>ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে মসলা পণ্যের আমদানি। তিন মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি জিরার দাম কমেছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। জিরার দাম অর্ধেকে নামায় খুশি ক্রেতারা। বর্তমানে মসলার বাজারে কিশমিশ ও এলাচের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা পর্যন্ত। </p> <p>শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাহিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মসলার দোকানগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জিরার প্যাকেট সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। দোকানগুলোতে মসলা কিনতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। আমদানীকৃত কাকা জিরা ৬০০ টাকা, বাবা জিরা ৬২০ টাকা, মধু জিরা ৬২০ টাকা, অমরিত জিরা ৬০০ টাকা, সোনা জিরা ৬৩০ টাকা ও ডিবি গোল্ড জিরা ৬৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। </p> <p><strong>গত এক মাসেও দাম বাড়েনি যেসব পণ্যের</strong><br /> বড় জাতের কালো এলাচ দুই হাজার ৬০০ টাকা কেজি, ছোট জাতের কালো এলাচ দুই হাজার ৪০০ টাকা কেজি, দারচিনি মোটা জাতের ৫২০ টাকা কেজি, চিকন জাতের দারচিনি ৪২০ টাকা কেজি, লবঙ্গ এক হাজার৭০০ টাকা কেজি, গোলমরিচ ৯০০ টাকা কেজি, কালোজিরা ২৮০ টাকা কেজি, কাজুবাদাম এক হাজার২০০ টাকা কেজি, কাঠবাদাম এক হাজার ৬০০ টাকা কেজি।</p> <p><strong>এক মাস থেকে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে </strong><br /> ভালো মানের সাদা এলাচ দুই হাজার ৫০০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল দুই হাজার ৪০০ টাকা; কিশমিশ ৫৮০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি, যা আগে ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তিন মাস আগেও খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় জিরা প্রতি কেজি এক হাজার ১০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই জিরা আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। </p> <p>বিসমিল্লাহ মসলা ঘরের আব্দুল আউয়াল সবুজ জানান, চলতি মৌসুমে ভারতে জিরার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। হিলি বন্দর দিয়ে ব্যাপক আমদানি হচ্ছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত কিছু পণ্যের দাম কমছে আবার কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। গত তিন মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা। ঈদকে সামনে রেখে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক ক্রেতা আসেন জিরাসহ বিভিন্ন মসলা কেনার জন্য। আগের থেকে জিরাসহ সব ধরনের মসলা পণ্য বেচাকেনা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।</p> <p>হিলি স্থলবন্দরের মসলা পণ্য আমদানিকারকরা জানান, দেশে মসলা পণ্যের চাহিদা থাকায় বন্দর দিয়ে আমদানিও বাড়িয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। জিরাসহ অন্যান্য পণ্য আসছে ভারতের গুজরাট থেকে। প্রতি কেজি জিরার শুল্ক দিতে হয় ২৩৩ টাকা। এসব মসলা পণ্য বন্দরের স্থানীয় বাংলাহিলি বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।</p>