<p>ফরিদপুরের নগরকান্দায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার রামনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চাল বিতরণে এ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।</p> <p>জানা গেছে, চাল বিতরণকালে পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না ওই ইউনিয়ন পরিষদের মো. কাইমদ্দিন মন্ডল ও ট্যাগ অফিসার আখলিমা আক্তার। তাদের অনুপস্থিতিতেই প্রত্যেক উপকারভোগীকে এক কেজি করে চাল কম দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। এমনকি চালের ওজন মাপার জন্য ডিজিটাল স্কেল মেশিন ব্যবহার করা হয়নি। একটি বালতিতে করে মনগড়াভাবে চাল বিতরণ করা হয়।</p> <p>একাধিক উপকারভোগী জানান, প্রত্যেক দরিদ্র উপকারভোগীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া কথা থাকলেও ৯ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। বালতিতে মেপে চাল দিয়েছে। পরে মেপে দেখা যায়, প্রত্যেকেই চাল কম দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নের ভোজেরডাঙ্গী গ্রামের জহিরুল নামে এক উপকারভোগী বলেন, আমাকে ১০ কেজির জায়গায় ৯ কেজি ৩০০ গ্রাম চাল দিয়েছে। যেখানে ৭০০ গ্রাম চাল নেই।  </p> <p>সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার আখলিমা আক্তার বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছি। </p> <p>বৃহস্পতিবার বিকেলে রামনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাইমদ্দিন মন্ডল কালের কণ্ঠকে বলেন, উপজেলার একটি মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। যে কারণে চাল বিতরণের সময় উপস্থিত থাকতে পারিনি। তবে আমার লোক উপস্থিত ছিল। চাল বিতরণে কোনো ধরণের অনিয়ম হয়নি।</p> <p>নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাফি বিন কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, চাল বিতরণে অনিয়মের খবর পেয়ে আমি ওই ইউনিয়ন পরিষদে লোক পাঠিয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p>এর আগে গত বুধবার একই উপজেলার কোদালিয়া-শহিদনগর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। সেখানেও প্রত্যেক উপকারভোগীকে এক কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহকালে স্থানীয় তিন সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার জাকির হোসেন নিলু।</p>