<article> <p style="text-align: justify;">কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কালিয়াচাপড়া চিনিকলের জমি আবারও বিক্রির চেষ্টা চলছে। সাফকবলা দলিল ও মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ১১ একর জমি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে নিটল মোটরস লিমিটেডের বিরুদ্ধে। আর দলিল ছাড়াই এসব জমি কিনে সেখানে মার্কেট, দোকানঘর, বাসা ও রাস্তা নির্মাণ করেছেন ক্রেতারা। এ নিয়ে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ‘চিনিকলের জমি বিক্রির চেষ্টা’ শিরোনামে কালের কণ্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে জমি বিক্রির কাজ বন্ধ থাকে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এক বছর পর শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শর্তযুক্ত একটি অনাপত্তিপত্র এনে আাাবারও জমি বিক্রি এবং বিক্রি হওয়া জমির দলিল করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।</p> <p style="text-align: justify;">স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াচাপড়া চিনিকলটি ১৯৬৫ সালে স্থাপিত হয়। লোকসানের কারণে ১৯৯৪ সালে বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। ২০২৪ সালে এটি বেসরকারি মালিকানায় দেওয়া হয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এই চিনিকলের অধীনে ১৯টি মৌজার বিভিন্ন দাগে মোট ১৮৪.৩ একর জমি রয়েছে। ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছ থেকে চিনিকল ও এর অধীনে থাকা সব জমি ও স্থাপনা সাফকবলা দলিলে কিনে নেয় নিটল মোটরস লিমিটেড। শর্ত ছিল ক্রেতা শিল্প স্থাপন বা সম্প্রসারণ ছাড়া এসব জমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। তবে সেই শর্তের তোয়াক্কা না করে ওই সব জমি স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চিনিকলের পাকুন্দিয়া সদর মৌজার আখ ক্রয়কেন্দ্রের জায়গায় মাটি ভরাট করে সেখানে দোকানঘর, বাসা ও চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার তারাকান্দি মৌজার জায়গায় ৪৭টি দোকানসহ একটি মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। মঠখোলা ও কটিয়াদীর চারিপাড়া মৌজার জায়গার কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দখলে নিয়েছেন ক্রেতারা।</p> <p style="text-align: justify;">এ ব্যাপারে নিটল মোটরসের কালিয়াচাপড়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মাহবুবুল হক বলেন, স্থানীয়ভাবে এসব তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি ঢাকা কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ঢাকা কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক ওমর ফারুকের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।  পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, দলিলের শর্তের বাইরে জমি বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। যদি হয় তা হবে সম্পূর্ণ অবৈধ। শিল্প মন্ত্রণালয়ের (বিরাষ্ট্রীয়করণ অধিশাখা) উপসচিব সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, জমি বিক্রির সময় দলিলে যে শর্ত দেওয়া হয়েছিল সেই শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে অনাপত্তিপত্রে জমি বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করে অন্য কোনো কাজে এ জমি ব্যবহার করা যাবে না। বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> </article>