<article> <p style="text-align: justify;">যশোরের কেশবপুরে জলাবদ্ধতার কারণে পাঁচ ইউনিয়নের বোরো চাষাবাদ নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। ভবদহ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার উপজেলার সুফলাকাটী, পাঁজিয়া, গৌরীঘোনা, মঙ্গলকোট ও কেশবপুর সদর ইউনিয়নে দুই হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কৃষকরা। এলাকার বিলগুলোতে এখন জলাবদ্ধতার পানি থই থই করছে। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি ও ২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নদ-নদী খননসহ টিআরএম চালু করা না হলে এই অঞ্চলে জলাবদ্ধতা আরো বৃদ্ধি পেয়ে একসময় এলাকার মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হবেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুফলাকাটী ইউনিয়নে এক হাজার ২৭৪, পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৬৫০, গৌরীঘোনা ইউনিয়নে ৫১, মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ১৮১, কেশবপুর সদর ইউনিয়নে ৯৪ ও পৌরসভায় তিন হেক্টর জমি জলাবদ্ধ রয়েছে। এ বছর কেশবপুর উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ৮৮০ হেক্টর। গত বছর এই উপজেলায় বোরো আবাদ হয়েছিল ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শ্রীহরি নদীর ২৩ কিলোমিটার, আপার ভদ্রার ১৮ কিলোমিটার, বুড়িভদ্রার ছয় কিলোমিটার, হরিহরের পাঁচ কিলোমিটার পলিতে ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হয়ে বিলগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নদ-নদী খনন না হওয়া পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনের সম্ভাবনা খুবই কম।</p> <p style="text-align: justify;">সরেজমিনে উপজেলার বিল গরালিয়া, পাঁজিয়া, বাগডাঙ্গা, নারায়ণপুর ও বিল খুকশিয়া ঘুরে দেখা গেছে, এই বিলগুলোতে এখন পানি থই থই করছে। পাঁজিয়া ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা এলাকার ইউপি সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে বাগডাঙ্গা-মনহরনগর বিলে বোরো আবাদ হচ্ছে না। এলাকার কৃষকরা বোরো আবাদ করতে না পারায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।’</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, শ্রীহরি নদীর ২৩ কিলোমিটার, আপার ভদ্রার ১৮ কিলোমিটার, বুড়িভদ্রার ছয় কিলোমিটার, হরিহরের পাঁচ কিলোমিটার পলিতে ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হয়ে বিলগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শ্রীহরি নদীর ভবদহ থেকে খর্ণিয়া ব্রিজ পর্যন্ত নদী খনন না হলে বিলগুলো থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের সম্ভাবনা খুবই কম।</p> <p style="text-align: justify;">নদ-নদী খনন করার জন্য জরিপ কাজ চলছে। শিগগির জরিপ কাজ শেষ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে। তবে জরুরি ভিত্তিতে বিল খুকশিয়া এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে এক কিলোমিটার খাল খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।</p> </article>