<article> <p style="text-align: justify;">আগামীকাল বুধবার পহেলা ফাল্গুন। একই দিন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আবার সামনেই একুশে ফেব্রুয়ারি। এই দিবসগুলোতে ফুলের কদর বেড়ে যায়। তাই দেশের ফুল উৎপাদনকারী এলাকাগুলোতে চাষি, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ব্যস্ততা এখন চোখে পড়ার মতো। এখন হাটে রংবেরঙের ফুলের ডালি সাজিয়ে বসে থাকেন কৃষকরা। বিক্রিও করছেন ভালো দামে, এতে খুশিও তাঁরা। ফুল উৎপাদনে সুপরিচিত জেলা যশোর, ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>যশোর : </b>জেলার প্রায় ৭৫টি গ্রামে দেড় হাজার হেক্টর কৃষিজমিতে প্রায় ছয় হাজার কৃষক ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">দেশের মোট ফুলের চাহিদার ৭৪ শতাংশ এই জেলা থেকে সরবরাহ করা হয়। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস থেকে গদখালীর হাটে ফুলের চাহিদা ও বিক্রি বাড়তে থাকে।</p> <p style="text-align: justify;">গত দুই দিন এই বাজারে সাধারণ গোলাপ প্রতিটি বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। আর একটু ভালো মানের চায়না ও থাই গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">বিগত বছরগুলোতে সর্বোচ্চ ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল গোলাপ। এ ছাড়া রজনীগন্ধা ১৫ থেকে ২০, গ্লাডিওলাস মানভেদে ১০ থেকে ২২ টাকা। জারবেরা ১৫ থেকে ২০ টাকা। চন্দ্রমল্লিকা দু-তিন টাকা এবং গাঁদা ফুলের হাজার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর আগের বছরগুলোতে রজনীগন্ধা সর্বোচ্চ ১০ টাকা, গ্লাডিওলাস ১০ টাকা ও চন্দ্রমল্লিকা দু-তিন টাকায় বিক্রি হয়েছিল।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">গতকাল সন্ধ্যায় যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, এবার প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন তাঁরা।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>ঝিনাইদহ :</strong> মাসখানেক আগে যে গোলাপ বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ৮ থেকে ১০ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়। চায়না গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। কয়েক বছর ধরে এত ভালো দাম পাননি- বললেন উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ফুলের বাজারে ফুল বিক্রি করতে আসা কয়েকজন  ফুলচাষি।</p> <p style="text-align: justify;">সোমবার বালিয়াডাঙ্গার ফুলবাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। ত্রিলোচনপুর গ্রামের ফুলচাষি টিপু সুলতান জানান, তিনি এ বছর ১২ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করেছেন। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফুলের দাম ভালো হওয়ায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।</p> <p style="text-align: justify;">এই বাজারে ঢাকা থেকে ফুল কিনতে এসেছেন ব্যবসায়ী আছির উদ্দিন। তিনি বলেন, এবার ফুলের দাম অন্যবারের তুলনায় ডাবল। যে ফুল গত বছর কিনেছি সাত টাকায় এবার সেই ফুল কিনতে হচ্ছে ১৫ টাকায়। এখন গোলাপের চাহিদা বেশি। কিন্তু বাজারে আমদানি কম হচ্ছে, ফলে গোলাপের দাম একটু বেশি।        </p> <p style="text-align: justify;">প্রতিদিন কালীগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে মিনি ট্রাক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম অভিমুখী বাসের ছাদে ফুল যাচ্ছে রাজধানীসহ সারা দেশে।</p> </article>