<p>নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসমি মেহরাজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে চরজব্বর থানার পুলিশ।</p> <p>বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৮ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ওই আসামি জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি দেওয়া আসামির নাম মেহরাজ উদ্দিন (৪৮)। তিনি চরওয়াপদা ইউনিয়নের নুরুল আমিনের ছেলে।</p> <p>চরজব্বর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আসামি মেহরাজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারের সাত দিনের রিমান্ডর জন্য আদালতে আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন। পরে মুন্সি মেম্বার ও মেহরাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাল বৃহস্পতিবার আদালতে রিমান্ডের শুনানির কথা রয়েছে।</p> <p>অপরদিকে নির্যাতিত শিশু আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি প্রদান করেছে।</p> <p>মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে গত সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে বসতঘরের সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।</p> <p>মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বার (৬৭)। তিনি মো. মেহরাজকে দিয়ে ঘরের সিঁধ কাটিয়ে গরু বেপারী মো. হারুনকে (৪২) নিয়ে ওই নারীর (মা) ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন। ওই সুযোগে মেহরাজ ওই নারীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পুলিশ ঘটনার পরপরই সিঁধ কাটার কাজে ব্যবহৃত কোদাল, কাঁচি, কালো প্যান্ট ও কানটুপি জব্দ করে।</p> <p>এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সিকে প্রধান আসামি, হারুনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।</p> <p>এদিক বুধবার সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় ভুক্তভোগীদের কানে থাকা স্বর্ণের কানের দুল ও ঘরে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী শিশুর হাতের বাঁধন খুলে দেন এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি-ধমকি দেন।</p>