<p>‘আস্তে চলি, ডানে চলি, আল্লাহু আকবার বলে এগিয়ে চলি।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন লাঠি হাতে পাহারার দায়িত্বে থাকা সিরাজ শিকদার। বিশ্ব ইজতেমার চার নং গেটে পাহারা জামাতের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার জিঞ্জিরা থেকে আসা এ মুসল্লি। </p> <p>সরেজমিন আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেখা যায়, বিশ্ব ইজতেমায় দলে দলে আসছেন মুসল্লিরা। চারিদিক থেকে দলে দলে এসে ময়দানে ঢুকছেন তারা। সবার লক্ষ্য এখন ইজতেমা ময়দান। তাদের মাথায় ও হাতে নিজেদের থাকার আসবাব ও বিছানাপত্র। বাস, ট্রাক, পিকআপ, রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন করে মালামাল নিয়ে আসছেন তারা। অনেকে আসছেন ট্রেনে বা জলপথে।</p> <p>শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করতে সরকারের পাশাপাশি বিশ্ব ইজতেমার আয়েজকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ১০টি জামাত। এসব জামাত ইজতেমার ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছে।</p> <p>গোডাউন জামাতের জিম্মাদার মাওলানা শিহাব উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমা আয়োজকদের মোট ১০টি বিভাগ রয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে নজমওয়ালি জামাত। তা হলো- পাহারা জামাত, এস্কেবাল (অভ্যর্থনা) জামাত, জুর্নেওয়ালি জামাত, পানির জামাত, বিদ্যুৎ জামাত, মাইক জামাত, সাফাই জামাত, রিজার্ভ জামাত, গোডাউন জামাত ও নজমওয়ালি জামাত। নজম আলি জামাতে বর্তমানে ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। তবে সার্বিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন জামাতের শুধুমাত্র ছয় সদস্য।</p> <p>আয়োজকদের প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান কালের কণ্ঠকে জানান, প্রতিটি জামাতে শতাধিক লোক রয়েছে। আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তারা কাজ করছেন। আজ বাদ ফজর থেকে পুরো প্যান্ডেলে আলাদা আলাদা খিত্তায় বয়ান হচ্ছে। বাদ আসর বিশ্ব জামাতের মুরুব্বিরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন, কে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন এবং কারা কারা বয়ান করবেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে ১০৪টি খিত্তায় আঞ্চলিক বয়ান শুরু হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। আগামীকাল ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ৯-১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। <br />  </p>