<p style="text-align: justify;">ঝালাকঠির দুটি আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর এবং ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আমির হোসেন আমু। এরপর তিনি ছয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।</p> <p style="text-align: justify;">এবারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন দলের প্রবীণ নেতা, সাবেক শিল্প ও খাদ্যমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ নিয়ে ঝালকাঠি জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা। আমির হোসেন আমু মন্ত্রী হলে এ জেলার উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে বলেও মনে করেন ভোটাররা। শেষ বয়সে আমির হোসেন আমুকে মন্ত্রী করার জন্য দাবিও জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। প্রবীণ ও নবীনের সমন্বয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হলে আমির হোসেন আমু থাকতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকেই।</p> <p style="text-align: justify;">ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির বলেন, ‘আমির হোসেন আমু দক্ষিণাঞ্চলের অলংকার। রাজনীতির সিংহ পুরুষ বলা হয় তাকে। তাঁর হাত ধরে অনেকেই রাজনীতিতে এসে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক, তাকে এবার মন্ত্রী দেওয়ার কথা শুনেছি। আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রিয়জন আমির হোসেন আমুকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো মন্ত্রালয়ের দায়িত্ব দিবেন।’</p> <p style="text-align: justify;">ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, ‘আমির হোসেন আমু দলের একজন পোড়খাওয়া নেতা। তিনি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আস্থাভাজন। গুরুত্ব সহকারে তিনি খাদ্য ও শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারও নেত্রী তাকে ভালো একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এটা আমার শুধু একার চাওয়া নয়, সমগ্র ঝালকাঠিবাসী এখন এই দাবির সঙ্গে একমত। আমু ভাই মন্ত্রী হলে ঝালকাঠি জেলার উন্নয়ন আরো বেড়ে যাবে।’<br />  <br /> ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তরুন কর্মকর্তার বলেন, ‘আমির হোসেন আমু আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের রাজনীতির পুরধা। তাকে এ এলাকার রাজনীতির অভিভাবক বলা হয়। তাকে মন্ত্রী দিলে তিনি সুনামের সাথে তা পালন করতে পারবেন। তাই তাকে মন্ত্রী দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’<br />  <br /> ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, ‘আমির হোসেন আমু ভাই এলাকায় দৃষ্টান্তমূলক উন্নয়ন করেছেন। আমরা তাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। তিনি এর আগেও মন্ত্রী ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। আশাকরি নেত্রী আবারও তাকে মন্ত্রী করবেন।’</p>