<p style="text-align: justify;">কেন্দ্র দখল ও এজেন্টদের পিটিয়ে বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে কক্সবাজার-১ আসনের (চকরিয়া-পেকুয়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ রবিবার দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেন জাফর আলম।</p> <p style="text-align: justify;">জাফর আলম বলেন, রবিবার সকাল ৮টা থেকে প্রত্যেক কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান চললেও দুপুর ১২টার পর থেকে সিংহভাগ কেন্দ্র দখল করে নেয় বিজিবি ও বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এ সময় এসব কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের পিটিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এরপর প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালটের বান্ডিল কেড়ে নিয়ে পিটিয়ে বের করে দিয়ে ব্যালটে কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকে দেদারছে সিল মেরে বাক্সভর্তি করে।</p> <p style="text-align: justify;">তিনি আরো বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই নির্বাচন কমিশন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছিলাম যে, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের হাতঘড়ি প্রতীকের পক্ষে বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে তৎপর। আমার পক্ষে কাজ করা জনপ্রতিনিধি, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হামলা, মামলা দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। যা আজকের ঘটনাগুলোর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।’</p> <p style="text-align: justify;">বেলা ৩টার পর আরেক ভিডিওবার্তায় জাফর আলম বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেই। চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ দলমত নির্বিশেষে আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। </p> <p style="text-align: justify;">অপরদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের ছেলে ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিনও (প্রতীক ঈগল) এই নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন দাবি করে ভোট বর্জন করেন।</p> <p style="text-align: justify;">কক্সবাজার-১ আসনের অন্য চার প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী হোসনে আরা আরজু (প্রতীক লাঙ্গল), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মো. বশিরুল আলম (প্রতীক হাতুড়ি), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মো. বেলাল উদ্দিন (মোমবাতি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মীরাক্কেল তারকা কমর উদ্দিন আরমান (কলার ছড়ি)।</p> <p style="text-align: justify;">জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, কক্সবাজার-১ আসনের বর্তমান ভোটার সংখ্যা চার লক্ষ ৮৬ হাজার ২৫২ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লক্ষ ৬০ হাজার ৪৮৮ জন এবং নারী ভোটার দুই লক্ষ ২৫ হাজার ৭৬৪ জন। চকরিয়া উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন এবং পেকুয়ার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে এই নির্বাচনী এলাকা গঠিত। এই আসনের ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে চকরিয়ায় ১১৪টি এবং পেকুয়ায় ৪৪টিসহ সর্বমোট ১৫৮টি কেন্দ্র।</p>