<p style="text-align: justify;">সমন্বিত তিন ফসলের আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছেন যশোরের মণিরামপুরের চাষি শফিকুল ইসলাম। একসঙ্গে ওলকচু, হলুদ ও মরিচ চাষ করেছেন তিনি। এরই মধ্যে ছয় চালান মরিচ বিক্রি করে খরচের টাকা উঠিয়েছেন। আরো অনেক বিক্রি করা যাবে।</p> <p style="text-align: justify;">যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী। নিরাপদ সবজি উৎপাদনে সমৃদ্ধ এ জনপদ। এখানকার উৎপাদিত লাউ, পটোল, শিম, বেগুন, কলা, করল্লা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, পেঁপে, মানকচু, ওলকচু, কচুমুখি, মেটে আলু, বরবটি, ঢেঁড়শ, মিষ্টিআলু, ঝিঙা, চিচিঙ্গাসহ বিভিন্ন সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ অন্তত ২৪টি দেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।</p> <p style="text-align: justify;">কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি রবি মৌসুমে অন্তত দুই হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভাসহ সব কটি ইউনিয়নে কমবেশি সবজি চাষ করা হয়ে থাকে।</p> <p style="text-align: justify;">সমন্বিত ফসল আবাদকারী চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একজন প্রান্তিক কৃষক। আমি উপসহকারী কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামানের পরামর্শে ৪২ শতক জমিতে এপ্রিল মাসে হলুদ, ওলকচু ও মরিচের আবাদ করেছি। এতে এক হাজার ৫০০ ওল কচুমুখি, অন্তত ৮০ কেজি হলুদ ও প্রায় ৬০০ পিস মরিচের চারা রোপণ করি।</p> <p style="text-align: justify;">সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অক্টোবর মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ছয় চালান মরিচ বিক্রি করে খরচের টাকা উঠে গেছে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এভাবেই মরিচ উঠানো যাবে। এ ছাড়া এক হাজার ৫০০ পিস ওল কচুর চাকি (বীজ), অন্তত ৭০ মণ হলুদ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’</p> <p style="text-align: justify;">উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে সমন্বিত ফসল চাষের জন্য  চাষি শফিকুল ইসলামকে উদ্ধুদ্ধ করি।</p> <p style="text-align: justify;">তাঁর এই আবাদে সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই সমন্বিত ফসল আবাদে ঝুঁকেছে। চাষি শফিকুল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’<br /> উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অজয় কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় অন্তত দুই হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’</p> <p style="text-align: justify;">উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ‘মণিরামপুর উপজেলা নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য সমৃদ্ধ। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশ-বিদেশেও রপ্তানি করা হয় নিয়মিত। উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের চাষি শফিকুল ইসলাম ওই জমিতে সমন্বিত তিন ফসল চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।’</p>