<p>রংপুর মহানগরীতে দাফনের সাত মাস পর বর্ষা হোসাইন বর্ণা (২০) নামের এক তরুণীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকালে মহানগরীর খাসবাগ এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। </p> <p>ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত। </p> <p>বর্ষা খাসবাগ এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে। তিনি আউটসোর্সিংয়ের চাকরি করতেন। নিহতের মা শাহিনা বেগম ও বাবা বেলাল হোসেন দুই সন্তান বর্ষা ও বাঁধনকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় কাজ করতে যান। এরই মধ্যে খাসবাগ এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে জিয়াদ হোসেনের (২৫) সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে বর্ষার গর্ভে সন্তান আসে। বিয়ে ছাড়াই হঠাৎ বর্ষার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপর কৌশলে তাকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।</p> <p>মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর সিআইডির পরিদর্শক শামসুল আলম। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে সকালে সাত মাস আগে দাফন করা বর্ষার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।</p>