<p>চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চিতা বিড়ালের ঘরে জন্ম নিয়েছে নতুন অতিথি। গত সোমবার চিতা বিড়াল তিনটি বাচ্চা প্রসব করে। বাংলাদেশের কোনো চিড়িয়াখানায় বন্দি (ক্যাপটিভ) অবস্থায় চিতা বিড়ালের বাচ্চা প্রসবের রেকর্ড নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এমন ঘটনায় নতুন অভিজ্ঞতা আর্জন করলো।</p> <p>চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, লিওপার্ড ক্যাট বা চিতা বিড়াল সাধারণত বন্দি অবস্থায় বাচ্চা প্রসব করে না। ক্যাপটিভ ব্রিডিং খুবই বিরল একটি ঘটনা। চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি বনাঞ্চলে চিতা বিড়াল দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের মধ্যে ক্যাপটিভ অবস্থায় চিতা বিড়ালের বাচ্চা প্রসব চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রথম হয়েছে।</p> <p>বিদেশি চিড়িয়াখানার উদাহরণ তুলে তিনি আরো জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হাঙ্গেরির ডেভরিসেন চিড়িয়াখানায় ক্যাপটিভ কন্ডিশনে চিতা বিড়ালের বাচ্চা জন্ম নেয়। এ ছাড়াও ভারতের পাটনা চিড়িয়াখানায় ক্যাপটিভ ব্রিডিং এর রেকর্ড আছে।</p> <p>ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, চিতা বিড়ালের বাচ্চাগুলো এখন পর্যন্ত সুস্থ অবস্থায় তাদের মায়ের কাছে আছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় তিনটি প্রাপ্তবয়স্ক চিতা বিড়াল রয়েছে। নতুন তিনটি বাচ্চা প্রসব হওয়ায় চিতা বিড়াল পরিবারের সদস্য বেড়ে হলো ছয়। চিতা বিড়াল সচরাচর ১১/১২ বছর পর্যন্ত বাঁচে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাপ্তবয়স্ক চিতা বিড়াল তিনটির বর্তমান বয়স ৩ থেকে ৪ বছর।</p> <p>বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা আরো অবদান রাখবে বলে এই আশা করেন ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ।</p>