<p>কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নারী, পুরুষ, শিশুসহ ৯ রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম‍্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম‍্যমাণ আদালত। বুধবার (২৮ জুলাই) সন্ধ‍্যায় উপজেলার পাগলার হাট বাজারের পাশে ছাট গোপালপুর গ্রামের কাছুর মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক রোহিঙ্গাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।</p> <p>আটককৃতরা হলো- কক্সবাজারের ১৩ নম্বর টেংরাখালী ক‍্যাম্পের ফাইয়া সালাব (২৭), পিতা- আব্দুল খালেক, ১৮ নম্বর বালুখালী রোহিঙ্গা ক‍্যাম্পের মৃত হাসেম আলীর স্ত্রী সবিকা খাতুন (৫০), পুত্র নাছিম (১৫), রিয়াজ (১০), ইসমাইল (০৩), কন‍্যা আছমিরা খাতুন (১৮), তাহমিরা (০৭), রুমাজান (০৫) ও রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প কুতুপালং ২-এর ইসমাইল (১৮), পিতা সিদ্দিক হোসেন।</p> <p>জানা গেছে, বুধবার চলমান লকডাউনে বিধি-নিষেধ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন ও আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম‍্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারে যান সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম‍্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি দল। সেখান থেকে উপজেলা সদরে ফেরার পথে সন্ধ‍্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পাগলার হাট বাজারের পাশে ছাট গোপালপুর গ্রামের কাছুর মোড় নামক স্থানে পৌঁছেন। এ সময় একটি চলমান অটোতে পুরুষ, নারী শিশুসহ ৯ জনকে গাদাগাদি করে বসে থাকতে দেখে সন্দেহ হলে রিকশা থামিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চান। ভ্রাম‍্যমাণ আদালতের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, সলিম নামের এক ব‍্যক্তির মধ‍্যস্থতায় ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ‍্যে রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প থেকে এসেছে। পরে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।</p> <p>ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ৯ জন রোহিঙ্গা আটকের সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম‍্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভ্রাম‍্যমাণ আদালত পরিচালনা শেষে ধলডাঙ্গা বাজার থেকে ফেরার পথে পাগলার হাট বাজারের পাশে এক অটোতে একসঙ্গে ৯ জনকে বসে থাকতে দেখে সন্দেহ হলে রিকশা থামিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। এ সময় তারা জানায়, রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প থেকে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ‍্যে সলিম নামের এক ব‍্যক্তির পরামর্শে এখানে এসেছে। পরে তাদের আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে আটক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>