<p>তিন সপ্তাহেও সুস্থ হয়নি কালের কণ্ঠ’র বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) ও বাগেরহাট সদর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ কিচিৎসা বোর্ড বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও তার সুনির্দিষ্ট কোনো রোগ ধরতে পারেনি। এক সপ্তাহ খুমেকের সিসিইউতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন তিনি। এত দিনেও শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি সেচ্ছায় ছাড়পত্র নিয়ে নিজ বাসায় ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি বাগেরহাট শহরের শালতলার নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।</p> <p>এদিকে, সোমবার সকালে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহিনুজ্জামান অসুস্থ সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তীতে দেখতে তার বাসায় যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এই সাংবাদিকের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির।</p> <p>খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে থাকাকালীন বিষ্ণু প্রসাদকে দেখতে যান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রতিনিধি। ওই সময় সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসা মনিটরিং করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।</p> <p>জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট সদর হাসপাতালে করোনার টিকা গ্রহণ করেন সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী। এর পর থেকেই তার তীব্র জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মাথা ও বুকে ব্যাথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপসর্গ যুক্ত হতে থাকে তার শরীরে। প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসা করা হলেও তাকে সুস্থ করা যায়নি। এর পর তাকে নেওয়া হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল টিম বিভিন্ন ধরণের টেষ্ট করিয়েও তার রোগ নির্ণয় করতে পারেননি। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। </p> <p>বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তীকে খুলনা মেডিক্যালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তার অনুরোধেই ২৪ ফেব্রুয়ারি খুমেক কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়েছে তাকে। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।</p> <p>সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির আরো বলেন, সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিলেও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। তাছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বিষয়টি মনিটরিং করছে।</p>