<p>মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি ওয়ার্ড বয় মাজিদুরকে অভিযুক্ত করে রিপোর্ট দাখিল করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদ।</p> <p>তিনি জানান, মাজিদুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত রিপোর্টে। তবে তারা বলছেন, এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি।</p> <p>এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওয়ার্ড বয় মাজিদুল ওই কিশোরীকে বিয়ে করে ৬ লাখ টাকা দেনমহরে। ফলে মেয়ের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি।</p> <p>গত ১১ সেপ্টেম্বর সাটুরিয়া হাসপাতালে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। শুরুতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চেপে যায়। মেয়ের পরিবারও থানায় অভিযোগ করেনি। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মেয়ের বাবা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। গত সোমবার এ নিয়ে কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায়। এরপরই টনক নড়ে স্বাস্থ্য বিভাগের। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত রিপোর্ট জামা দেয় কমিটি। যা গতকাল বুধবার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রকাশ করে।</p> <p>বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বসে থাকেনি মাজিদুল। সে বিবাহিত এবং এক ছেলের বাবা হলেও ৬ লাখ টাকা দেনমহরে বিয়ে করে ওই কিশোরীকে। কিশোরীর গরীব বাবাও মেনে নেন মেয়ের এই বিয়ে।</p> <p>স্থানীয় মাতব্বরদের ম্যানেজ করে গ্রাম্যভাবে রফা হওয়ায় মামলা দিতে রাজী হয়নি ধর্ষিতার পরিবার। ঘটনার কয়েক দিন পার হতেই ধর্ষক ও ধর্ষিতা দুইপক্ষই বলছে এটা স্বামী-স্ত্রী ভুল বোঝাবুঝির বিষয়।</p>