<p>টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাতে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের রশিদ দেওহাটা গ্রামে। নিহতের স্বামী গ্রাম পুলিশ জলিল খলিফা এ উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের ফজর আলী খলিফার ছেলে। নিহত স্ত্রীর নাম ছাহেরা বেগম (৫২)।</p> <p>এদিকে পুলিশ এ ঘটনায় খুনি স্বামী গ্রাম পুলিশ জলিল খলিফাকে আজ বুধবার সকালে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।</p> <p>পুলিশ সূত্র জানায়, জলিল খলিফা আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তার স্ত্রী ছাহেরা বেগম ২ ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জননী। তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। স্ত্রী তাকে স্বামীর মর্যাদা না দিয়ে তার অবাধ্য হয়ে নিজের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করতে থাকেন। এ ছাড়া তাকে প্রায় প্রতিদিন শারীরিকভাবে নির্যাতনও করতেন। ঘটনার দিন সোমবার রাত আটটার দিকে ছাহেরার বাবার বাড়িতে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং স্ত্রী তাকে মারপিট করে। এক পর্যায় তিনি তার স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজের বাড়ি মীর দেওহাটা গ্রামে চলে যান।</p> <p>মঙ্গলবার সকালে নিহতের মেয়ে রত্না বেগম বাদী হয়ে খালা ছালেহা বেগম ও খালাতো বোন নুরজাহানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। রত্নার নানার ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে তার মা ও খালার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বিষয়টি তদন্ত শেষে বুধবার সকালে নিহতের স্বামী জলিল খলিফাকে গ্রেপ্তার করেন।</p> <p>পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জলিল খলিফা স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাকে বধবার দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে নেওয়া হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠান। </p> <p>মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।</p>