<p style="text-align:justify">আইন অনুযায়ী ব্যক্তি পর্যায়ের করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর। কম্পানির আয়ের রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময়সীমা ১৫ জানুয়ারি। সর্বশেষ ২০২০ সালে নভেম্বর মাসজুড়ে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর এরই আদলে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হয়েছে আয়কর সেবা। এই সময়ের মধ্যেই আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করে দেওয়া আছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="পাবনায় ট্রেজারি ভবন নির্মাণ: ব্যয় প্রস্তাব হয়েছে রেট শিডিউলের দ্বিগুণের বেশি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/13/1728790486-2aabc3c30c50561e451d946b47fde819.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">পাবনায় ট্রেজারি ভবন নির্মাণ: ব্যয় প্রস্তাব হয়েছে রেট শিডিউলের দ্বিগুণের বেশি</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/13/1434648" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">তবে বিভিন্ন কারণে সময় বাড়ানো হয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এক মাস সময় বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে অনেকেই বিভিন্ন কারণে রিটার্ন জমা দিতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে কী করবেন করদাতা? পাঠকদের সুবিধার্থে এই বিষয়গুলো বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।</p> <p style="text-align:justify"><strong>সময় বাড়ানোর আবেদন : আয়কর</strong> আইন অনুযায়ী সময়সীমা পার হওয়ার পর যথাযথ কারণ উল্লেখ করে বাড়তি সময়ের জন্য আবেদন করা যাবে। করদাতার সংশ্লিষ্ট সার্কেলের উপকর কমিশনার নিজ ক্ষমতাবলে দুই মাস সময় বাড়াতে পারেন। এর চেয়ে বেশি সময়ের প্রয়োজন হলে যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে তিনি আরো দুই মাস অর্থাৎ মোট চার মাস সময় বাড়াতে পারবেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="হাসিনা সরকার: সব খাতের হিসাবেই ব্যাপক গড়মিল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/13/1728790276-8cda81fc7ad906927144235dda5fdf15.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">হাসিনা সরকার: সব খাতের হিসাবেই ব্যাপক গড়মিল</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/13/1434647" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">তবে যাঁরা আবেদন করবেন না কিংবা আবেদন করলেও সংগত কারণে বাড়তি সময় পাবেন না, তাঁদের জরিমানাসহ কর পরিশোধ করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify"><strong>ব্যর্থতার জন্য জরিমানা : কোনো</strong> ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনার ওই ব্যক্তির সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের ওপর ধার্য করা করের ১০ শতাংশ হারে জরিমানা আরোপ করতে পারবেন। জরিমানার ন্যূনতম পরিমাণ হবে এক হাজার টাকা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানাসহ কর পরিশোধ না করলে প্রতিদিনের জন্য ৫০ টাকা করে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করা হবে। কোনো ব্যক্তির ওপর আগে কর নির্ধারণ না হলে তার ওপর জরিমানা পাঁচ হাজার টাকার বেশি হবে না।</p> <p style="text-align:justify"><strong>রিটার্ন দাখিল হলেও অনিয়মের জন্য জরিমানা : রিটার্ন</strong> দাখিল করলেও কোনো বেআইনি কাজ করলে তার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে জরিমানার বিধান রয়েছে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি তার আয়কর রিটার্নে অন্য কোনো ব্যক্তির বা জাল করদাতা শনাক্তকরণ (টিআইএন) নম্বর ব্যবহার করেন, তাহলে উপকর কমিশনার ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তি তার আয়, সম্পদ, দায়, ব্যয় বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করে কর ফাঁকি দিলে বিভিন্ন হারে জরিমানার বিধান রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/13/1728790146-be720e0987f56c30f7047979d5d897fc.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/13/1434646" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">কোনো ব্যক্তি যৌক্তিক কারণ ছাড়া আয়কর আইনের ১৬৭, ১৬৮, ১৭৯, ১৮১ বা ১৮৩ ধারার অধীন জারি করা কোনো নোটিশ অমান্য করলে উপকর কমিশনার তার ওপর জরিমানা আরোপ করতে পারবেন। তবে জরিমানার পরিমাণ মোট আয়ের ওপর আরোপযোগ্য করের বেশি হবে না।</p> <p style="text-align:justify"><strong>আপিল করতে পারবেন করদাতা : কোনো</strong> করদাতা আয়কর কর্তৃপক্ষের আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে তিনি আপিল করতে পারবেন। এ জন্য আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ রয়েছে। আপিলের জন্য নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতি রয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ শুনানির জন্য তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করবেন এবং আপিলকারী এবং উপকর কমিশনারকে নোটিশ পাঠাবেন। মামলা নিষ্পত্তির পর আপিল কর্তৃপক্ষ আদেশ জারি করবে এবং বিষয়টি ৩০ দিনের মধ্যে আপিলকারী এবং সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনার ও কমিশনারকে জানাবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/13/1728787918-349d33fc7c18bb5c69aa90c66aeed3e2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/13/1434641" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি : কোনো</strong> আয়কর কর্তৃপক্ষ বা কর আপিল ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে বিচারাধীন কর নিরূপণসংক্রান্ত বিরোধ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যাবে। তবে কোনো বিরোধ নিয়ে রিট করা হলে তা এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যাবে না। করদাতা আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ বা কর আপিল ট্রাইব্যুনাল বা সুপ্রিম কোর্টের যেকোনো বিভাগে বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন করতে পারবে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সমঝোতার বিরুদ্ধে করদাতা কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ, ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে আপত্তি উত্থাপন করতে পারবেন না। সমঝোতার মাধ্যমে কোনো করদায় নিরূপিত হলে সম্মত সময়সীমার মধ্যে করদাতা তা পরিশোধ করবেন।</p>