<p>দেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা জানতে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি জনগণের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ জানতে চেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ পাঠাতে সেখানে ই-মেইল, একটি ফেসবুক পেজ ও লিংকডইন প্রফাইলসহ বেশ কিছু যোগাযোগের চ্যানেল দেওয়া হয়েছে। </p> <p>সুপারিশ পাঠানোর এই মাধ্যমগুলো হলো :<br /> ই-মেইলে whitepaperbd2024@gmail.com <br /> ফেসবুকে www.facebook.com/whitepaperbd2024<br /> এবং লিংকডইনে www.linkedin.com/company/whitepaperbd2024</p> <p>এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কমিটির কার্যালয়ে (ব্লক ৪, নিচতলা) একটি পরামর্শ বাক্স রাখা থাকবে। লিখিতভাবে এখানে পরামর্শ ও দলিলপত্রাদি জমা দেওয়া যাবে।</p> <p>গত ২৯ আগস্ট বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর শ্বেতপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। </p> <p>এই কমিটিতে পরবর্তী সময়ে দেশের ১১ জন স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।</p> <p>বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগ্রহী ব্যক্তিদের উল্লিখিত মাধ্যমের সহায়তায় এই কমিটির কাছে তাদের পরামর্শ ও সুপারিশ রাখতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। সবার সহযোগিতায়ই একটি পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে কমিটি মনে করে।</p> <p>যে বিষয়গুলোতে জনসাধারণের পরামর্শ চেয়েছে কমিটি সেগুলো হলো : সরকারি পরিসংখ্যানের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা; সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ; জিডিপির প্রবৃদ্ধির পর্যালোচনা; মূল্যস্ফীতির ধারা এবং তার অভিঘাত; দারিদ্র্য, অসমতা ও বিপন্নতা; অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ; সরকারি ব্যয় বরাদ্দে অগ্রাধিকার মূল্যায়ন; বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য এবং ঋণ ধারণক্ষমতা, মেগাপ্রকল্পসমূহের মূল্যায়ন; ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত অবস্থা; জ্বালানি ও বিদ্যুত্ খাতের পরিস্থিতি; ব্যবসা-পরিবেশ ও বেসরকারি বিনিয়োগ; অবৈধ অর্থ ও তার পাচার; শ্রমবাজারের গতিশীলতা ও যুব কর্মসংস্থান; বৈদেশিক শ্রমবাজার ও প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার।</p>