<p style="text-align:justify">বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিক্ষোভের মুখে অফিস ছেড়ে পালিয়েছেন চার ডেপুটি গভর্নর। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক এবং কয়েকটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্দেশ্য পূরণ করে আসছেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কখনোই এ রকমটা হতে পারে না। শীর্ষ কর্মকর্তাদের এত দিন অনিয়ম দুর্নীতি পরিদর্শনের কাজ করতে পারেননি অধীনস্থরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর এবং কিছু কিছু নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বহীনতা এবং অতিলোভের কারণে দেশের আর্থিক খাত আজ হুমকির মুখে। স্বাধীন দেশে এ রকম দুর্নীতিবাজদের কোনো প্রয়োজন নেই।</p> <p style="text-align:justify">আজ বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা প্রথমে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় কর্মকর্তারা ‌‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিয়ে অবস্থান নেন।</p> <p style="text-align:justify">সূত্র মতে, সরকার পতনের পর অফিস খোলার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান কর্মকর্তাদের ক্ষোভে পদত্যাগ করেছেন। তিনি নির্বাহী পরিচালক-১-এর কাছে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। </p> <p style="text-align:justify">কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান,  চার ডেপুটি গভর্নর (ডিজি), আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউর হেড ও পলিসি অ্যাডভাইজার আবু ফরাহান নাসেরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন কাজী ছাইদুর রহমান। নিজ কার্যালয়েই আটকা আছেন ছাইদুর। বাকিরা পালিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">প্রসঙ্গত, গত মার্চের শেষে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৯ শতাংশ।</p> <p style="text-align:justify">কিন্তু সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডি বলছে, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের যে হিসাব প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা প্রকৃত চিত্র নয়। পুনঃ তফসিল, অবলোপন ও অর্থঋণ আদালতের হিসাব যোগ করলে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ সাড়ে পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। </p> <p style="text-align:justify"><br />  </p>