<article> <p style="text-align: justify;">নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৯৩ একর জমিতে পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোন করছে সিটি গ্রুপ। এতে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান। এতে প্রায় ১১ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের আশা করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সিটি গ্রুপের আওতাধীন পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোনকে লাইসেন্স প্রদান করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।</p> </article> <p style="text-align: justify;">লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। এতে বিনিয়োগের বিষয়ে কথা বলেন গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান। সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান বলেন, ‘আমরা এর আগে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সিটি ইকোনমিক জোন ও হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছি। সেই সঙ্গে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।</p> <article> <p style="text-align: justify;">একই ধারায় পূর্বগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ অবিলম্বে শুরু হবে। এখানে পরিবেশবান্ধব একটি শিল্প এলাকা গড়ে তোলা হবে, যেখানে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। এরই মধ্যে চীন, জাপান ও থাইল্যান্ড থেকে বিনিয়োগের বিষয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে গ্যাস-বিদ্যুৎ না পেলে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারায়।’</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. হাসান বলেন, ‘হোসেন্দী অর্থনৈতিক জোনে আমাদের দুটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত আছে। আমরা গ্যাসের জন্য অপেক্ষায় আছি।’ সামনে হাই-টেক পার্ক নির্মাণেরও চিন্তা আছে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘আগামী দিনে জোনের বাইরে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে না। আর এসব জোনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ-গ্যাস দেওয়ার বিষয়ে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ </p> <p style="text-align: justify;">এ সময় চলমান গ্যাসসংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমানে কিছুটা গ্যাসসংকট রয়েছে। তবে এটা সাময়িক সমস্যা। সরকার এলএনজি আমদানির মাধ্যমে জোগান বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। যুদ্ধের প্রভাবে তেল-গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। তবে এটা সাময়িক সমস্যা। বিদ্যুতের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন সক্ষমতা আমাদের বেশি। শিল্পাঞ্চলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে।’</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সিটি গ্রুপ সূত্র জানায়, পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোনে স্টিল মিলস, কেমিক্যালস এবং সিরামিক খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অদূরে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯৩ একর জমিতে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে, যা ভবিষ্যতে ১৫০ একরে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় নৌপথ ও সড়কপথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটির অবস্থান রাজধানী থেকে ২৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে।</p> <p style="text-align: justify;">নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একই গ্রুপের সিটি ইকোনমিক জোনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ২০১৮ সালে। সেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। আর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ১০৮ একর জমিতে হোসেন্দী ইকোনমিক জোন গড়ে তুলেছে সিটি গ্রুপ।</p> </article>