<p>বর্তমানে দেশে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৫.১৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের আর্থিক সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। বাফেদা ও এবিবির ডলারের দাম কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। </p> <p>তিনি আরো বলেন, অর্থনীতি শক্তিশালী করতে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো ইতিবাচক দিকে যাওয়া শুরু করেছে। আর্থিক সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরছে।</p> <p>এর আগে চলতি মাসের শুরু, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১.১৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। সে সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেছিলেন, গত দুই মাসের আকু পেমেন্ট পরিশোধের পর দেশের গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫.২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে গঠিত তহবিলের অর্থ ৫.৭৬ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯.৪৫ বিলিয়ন ডলার। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আকু পেমেন্ট করা হয়েছে ১.১৭ বিলিয়ন ডলার।</p> <p>তবে এখনো দেশের রিজার্ভে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো নিয়ে শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।</p> <p>রিজার্ভ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন গ্রস রিজার্ভ হিসাব করি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমাদের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫.১৬ বিলিয়ন ডলার।’</p> <p>মুখপাত্র বলেন, ‘সরকার যদি আইএমএফ, এডিবি বা কোনো ইস্যুতে বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে, তখন আমাদের রিজার্ভে সেটি যুক্ত হয়।’ </p> <p>মেজবাউল হক বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা। এ জন্য আমরা পলিসি রেটেও বড় পরিবর্তন করেছি। এরই মধ্যে মার্কেটে আমরা এর প্রভাব দেখতে পেয়েছি।’</p> <p>ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁরা ১২৫ টাকা মূল্যেও এলসি করতে পারছেন না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মার্কেট আর ইনডিভিজুয়াল দুটি আলাদা জিনিস। ইনডিভিজুয়ালটা কিন্তু মার্কেট নয়। </p> <p>আজও মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, তারা ১১৩ থেকে ১১৭ টাকা দরে ডলার বিক্রি করেছে।</p> <p>এদিকে বুধবার বাফেদা আমদানি ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রে ডলারের ৫০ পয়সা দাম কমিয়েছে। এতে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের টাকার মান বাড়বে। যেটা এত দিন ছিল উল্টোমুখী। আমদানি কমে যাওয়ার কারণে ডলারের চাহিদা কমে এসেছে এবং আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ অতি নগণ্যতে নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।</p>