<p>অ্যাডিডাস, হুগো বস, পুমাসহ আন্তর্জাতিক ১৬টি ব্র্যান্ড বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছিল। এতে তারা মজুরি বৃদ্ধির সুপারিশ করে। দেশে মজুরি বৃদ্ধির পর এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এসব ব্র্যান্ড ও তাদের সংস্থা আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) লেখা চিঠিতে বিজিএমইএ মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেছে।</p> <p>মার্কিন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট নেইট হারমানকে উদ্দেশ করে লেখা চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশে যে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো হয়েছে, সেই বিষয়ে ১৬টি বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও এএএফএর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি ক্রেতারা যেন যথাযথ বিবেচনা ও সহমর্মিতার সঙ্গে গ্রহণ করেন।</p> <p>চিঠিতে ফারুক হাসান বলেন, দেশের পোশাকশিল্প মালিকরা নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করবেন। সে জন্য ক্রেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।</p> <p>আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে যেসব পণ্য জাহাজীকরণ হবে, নতুন মজুরির আলোকে তার মূল্য সমন্বয় করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া এখন থেকে যত ব্যাবসায়িক চুক্তি করা হবে, তা এই নতুন ন্যূনতম মজুরি সাপেক্ষে করতে হবে বলে উল্লেখ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।<br /> চিঠিতে নেইট হারমানকে জানানো হয়, পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বা ১১৩.৬৩ মার্কিন ডলার। শ্রমিকদের মোট মজুরি বেড়েছে ৫৬.২৫ শতাংশ। এবার শ্রমিকদের মূল মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে মোট মজুরির ৬৩.৪১ শতাংশ।</p>