<p>এ বছরই মন্দায় পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি আগামী বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে থাকবে। এক জরিপে দেশটির বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদ এমন আশঙ্কার কথা জানান। ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর বিজনেস ইকোনমিকস (এনএবিই) পরিচালিত ওই জরিপে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি উত্তরদাতা আরো জানান, বছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশের ওপরে থাকবে।</p> <p>সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, ২ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত সময়ে পরিচালিত এই জরিপে অংশ নিয়েছেন ২১৭ এনএবিই সদস্য। উত্তরদাতাদের ৫ শতাংশ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন মন্দার মাঝামাঝিতে আছে।</p> <p>এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার ৪.৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে। গত বছর দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে চার দশকে সর্বোচ্চ হয়, যা নিয়ন্ত্রণে ফেডারেল রিজার্ভ দফায় দফায় সুদের হার বাড়াতে থাকে। এতে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৬.০ শতাংশ। যদিও তা ফেডের দীর্ঘ মেয়াদে লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি।</p> <p>সম্প্রতি আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম দুটি ব্যাংক। পতনের ঝুঁকির মুখে আছে আরো ডজনখানেক। ফলে দেশটির ব্যাংক খাতের মূলধন সংকট ঘিরেও মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়ানোর মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল করতে চাইছে, তবে গত বছর থেকে সুদহারের চড়া বৃদ্ধি ব্যাংকিংব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি</p>