<p>যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় টেলকম বেবি পাউডার আর বিক্রি করবেনা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য খাতের বহুজাতিক কম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন। গত মঙ্গলবার এক ঘোষণায় কম্পানিটি জানায়, কভিড-১৯ সংক্রান্ত ভোক্তাপণ্য পোর্টফোলিও পূর্নমূল্যায়নের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানানো হয়, সামনের মাসগুলোতে এ পণ্যের বিক্রি ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এখন যা আছে তারা বিক্রি করতে পারবে। </p> <p>যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত জনসন অ্যান্ড জনসন এর বিরুদ্ধে ১৬ হাজারের বেশি মামলা করেছে ভোক্তারা। যার বেশিরভাগই নিউ জার্সির জেলা আদালতে অমীমাংসিত অবস্থায় আছে।কয়েকটির রায়ে জনসন অ্যান্ড জনসনকে কোটি কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ভোক্তাদের দাবি জনসন’স বেবি পাউডারসহ তাদের অন্যান্য টেলকম পণ্য ব্যবহার করে ক্যান্সার হচ্ছে। </p> <p>মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের টেলকম পণ্যে অ্যাসবেসটোস নামে একটি দূষিত পদার্থ আছে। যদিও জনসন অ্যান্ড জনসন বলছে, তাদের টেলকম পণ্য নিরাপদ এ ব্যাপারে তারা পুরো আত্নবিশ্বাসী, কারণ এ নিয়ে দীর্ঘ কয়েকদশক বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়েছে। ট্যালকম পাউডার তৈরির প্রধান উপাদান ট্যালক একটি খনিজ পদার্থ। মাটিতে অ্যাসবেসটোসের কাছাকাছি অবস্থান থেকে এটি সংগ্রহ করা হয়। গত এপ্রিলে নিউ জার্সির বিচারক বাদীদের তাদের মামলাগুলো নিয়ে সামনে এগোতে বলেছেনে।</p> <p>কম্পানি আরো জানায়, কর্নস্ট্র্যাচ বা শস্যভিত্তিক যে বেবি পাউডার রয়েছে তা বিক্রি অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য বাজারে টেলকম ও শস্যভিত্তিক উভয় বেবি পাউডার বিক্রি হবে।</p> <p>সূত্র: রয়টার্স</p> <p> </p>