<p style="text-align:justify">জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘৭১ সালের মার্চ মাসেই স্বাধীনতার ইশতেহারে স্বাধীন  ও সার্বভৌম বাংলাদেশের নামকরণ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতসহ মৌলিক প্রশ্ন নিষ্পত্তি করেই রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত ভিত্তি যা অগণিত আত্মত্যাগের বিনিময়ে জাতির অস্তিত্বে প্রথিত হয়ে আছে, তা নিয়ে অহেতুক বিতর্কে জাতীয় অনুভূতি ও মনন আঘাত প্রাপ্ত হয়। এসব অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক তুলে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হলে তা ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।’ </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর ৭১-এর জনআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকার সেতুবন্ধে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে; কোনো অবস্থাতেই এর ব্যত্যয় হতে দেওয়া যাবে না।’</p> <p style="text-align:justify">শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জেএসডির কেন্দ্রীয় ও মহানগরের সংগঠকদের সঙ্গে আলোচনা কালে আ স ম রব এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার শতাধিক নেতাকর্মী জাতীয় বীর আ স ম আবদুর রবের হাতে ফুল দিয়ে জেএসডিতে যোগ দেন।</p> <p style="text-align:justify">উত্তরাস্ত বাসভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘১৯৭২ সালে স্বাধীনতাসংগ্রামের চেতনার আলোকে সংবিধান রচনা ও বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের বিশেষ পর্যায় পর্যন্ত বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠনের মৌলিক প্রস্তাবনা উপেক্ষা করায় বাংলাদেশ ক্রমাগত বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হয়। বিগত ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দলের অনুগত করে সরকারের অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার করেছে। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর সংসদের উচ্চকক্ষসহ ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন, সংবিধানের আমূল সংশোধন এবং উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার অপসারণ জাতীয় এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। এসব লক্ষ্য পূরণে দলের নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক সক্রিয় থাকতে হবে।’</p> <p style="text-align:justify">ঢাকা মহানগর জেএসডির সমন্বয়ক ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল আহসান অপুর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, যোগদানকারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মোহাম্মদ নূর নবী, মনির হোসেন, জিয়াউর রহমান বাচ্চু মফিজুর রহমান বাবু ও রফিকুল ইসলাম রাজা।</p>