<p style="text-align:justify">বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশের শাখা সভাপতি ও সেক্রেটারিদের নিয়ে ‘শাখা দায়িত্বশীল সমাবেশ’অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮ টায় রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর, শহর ও জেলা শাখার দায়িত্বশীলবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। </p> <p style="text-align:justify">কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জমায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ সাইফুল আমল খান মিলন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ।</p> <p style="text-align:justify">প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রশিবির জমিনে আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় নেয়ামত। সকল ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে ছাত্রশিবির আরো শক্তিশালী হয়েছে। কোনো ময়দান কারো জন্য খালি পড়ে থাকে না। খালি জায়গায় যদি ভালো গাছ লাগানো না হয়, তাহলে সেখানে আগাছা দিয়ে পূর্ণ হয়ে যায়। ছাত্রশিবির আগামীতে সুন্দর বাগান তৈরির কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। আজ আমাদের জন্য আল্লাহ এই ময়দান উন্মুক্ত করেছেন। এই উন্মুক্ত ময়দানে যদি আমরা ভালো কাজ নিয়ে বিচরণ করতে না পারি, তাহলে অন্যায় দিয়ে সমাজ ভরে যাবে। সুতরাং আমাদের আর বসে থাকার সময় নেই। আজকের কাজ আজকেই শেষ করতে হবে; কালকের জন্য ফেলে রাখা যাবে না।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমরা যাদের দ্বারা জুলুমের শিকার হয়ে আসছি, সময়ের ব্যবধানে তারাই আজ লাঞ্ছিত, অপমান-অপদস্ত হচ্ছে। তবে আমরা প্রতিশোধপারায়ণ হতে চাই না। আমরা সকলকে ক্ষমা করে দিতে চাই। কোনো মহলকে আমরা দূরে ঠেলে দিতে চাই না। সকল দল-মত, ধর্ম, বর্ণ মিলে একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমাদের উচিত হবে, উস্কানিমূলক কথা বা বক্তব্য থেকে নিজেদের ও আমাদের সকল স্তরের জনশক্তিদের বিরত রাখা।’</p> <p style="text-align:justify">বিশেষ অতিথিবৃন্দ ইসলামী ছাত্রশিবির দেশ ও জাতি গঠনে যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।  </p> <p style="text-align:justify">সভাপতির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য প্রতিটি সময় বা যুগই চ্যালেঞ্জের। আমাদেরকে নৈতিকতার ভিত্তিতে যুগের চাহিদার আলোকে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে। কাজেই আমরা যদি দ্বীনকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, তাহলে তাকাওয়ার মানদণ্ডে নিজেদের উন্নিত করতে হবে। তাকওয়ার ভিত্তিতে নিজেদের গড়ে তুলে জাগতিক শক্তি ও ঈমানি শক্তিতে বলিয়ান হতে হবে। তবেই আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হবে।’<br />  </p>