<p>নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা। সদ্য নিবন্ধনপ্রাপ্ত দলটির ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীকে এসব প্রার্থীরা সারা দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।</p> <p>আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে তৃণমূল বিএনপির ৬০ প্রার্থীর পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-১৫ আসন থেকে সোনালী আশ প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক সেলিম।</p> <p>এমদাদুল হক সেলিম বলেন, ‘সারা দেশ থেকে তৃণমূল বিএনপি ১৩৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জনগণ যেভাবে সাড়া দিয়েছিল তাতে অন্তত ৫০ ভাগ প্রার্থী বিজয়ী হতেন। অথচ আমাদের চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। আমাদের সাহায্য-সহযোগিতাও করেছেন না।’</p> <p>দলের চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের অসহযোগিতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান বলে দাবি করেন এমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করার জন্য এসেছি। আমাদের চেয়ারপারসন ও মহাসচিব দলের যে অবস্থা করেছেন আমরা নির্বাচন করতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাই।’</p> <p>জোট সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ হিন্দু লীগের তিন প্রার্থী সোনালী আঁশ প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরাও শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে ধরেন।</p> <p>তাঁদের মধ্যে ময়মনসিংহ-৪ আসনে সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী দীপক চন্দ্রগুপ্ত অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা নিজ পয়সা খরচ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, আমাদের প্রচারকাজ চলছে। তবে আমাদের চেয়াপারসন ও মহাসচিব আমাদের সহযোগিতার যে আশ্বাস দিয়েছেন তা পূরণ করেননি। ২৬ ডিসেম্বর আমাদের ঢাকায় এনে বসিয়ে রেখেও আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।’</p> <p>ঢাকা-৬ আসনে সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারণার প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ আমরা চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের খোঁজে আজকের এই অনুষ্ঠানে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তাঁরা আমাদের ফোন ধরছেন না, ধরলেও বলছেন ব্যস্ত আছি।’</p> <p>তৃণমূল বিএনপি থেকে যশোর-৫ আসনের প্রার্থী মোস্তফা মনির বলেন, ‘আমরা (প্রার্থীরা) দলের কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নই। ‌দলের যারা অবহেলিত সংসদ সদস্য প্রার্থী তাঁদের পক্ষ থেকে কথা বলতে দাঁড়িয়েছি। তৈমুর, শমসের ও অন্তরা হুদা আমাদের নির্বাচনের মাঠে দাঁড় করিয়ে যে তামাশা করছেন জাতির কাছে তার হিসাব দিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের সমস্যা সমাধান না হলে আমরা আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হব।’</p> <p>আলেচনায় আরো বক্তব্য রাখেন বরগুনা-২ আসনের ইউনূস সোহাগ, কুমিল্লা-২ আসনের মো. মাঈনুদ্দিন কুমিল্লা, নেত্রকোনা -৪ আসনের আল মামুন, নেত্রকোনা-৫ আসনের আব্দুল ওয়াহাব হামিদী, মাগুরা-১ আসনের সঞ্জয় রায় রনি, মাদারীপুর-৩ আসনের প্রবীন হালদার প্রমুখ।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে উল্লেখ ছিল তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনাসভা। সভার ব্যানারে দলের কো চেয়ারপারসন কে এ জাহাঙ্গীর হোসেন মাজমাদার প্রধান অতিথি এবং সভাপতি হিসেবে মেজর (অ) ডা. শেখ হাবিবুর রহমানের নাম উল্লেখ ছিল। তবে তাঁরা কেউই উপস্থিত ছিলেন না।</p> <p>অভিযোগের বিষয়ে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ছোটভাই পরিচয়ে আলাল নামে একজন বলেন, ‘জনসংযোগে ব্যস্ত থাকায় তৈমুর আলম খন্দকার কথা বলতে পারবেন না।’</p>