<p>রাজপথে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও জাতীয় গণফ্রন্ট যৌথ সভা করেছে। সভায় ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার একতরফা নির্বাচন রুখে দাঁড়ানো, জনজীবনের সংকট দূর করতে দেশের শ্রমিক-কৃষক-ক্ষেতমজুর-ছাত্র-যুব-নারী, নিপীড়িত জাতিসত্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে গণআন্দোলন-গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে যুগপৎ কর্মসূচি পালনের বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করা হয়েছে।</p> <p>মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, জাতীয় গণফ্রন্টের কামরুজ্জামান ফিরোজ, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণমুক্তি ইউনিয়নের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাসদ (মাহবুব)’র মাহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, সাম্যবাদী আন্দোলনের মঞ্জুর আলম মিঠু প্রমুখ।</p> <p>সভায় সভা-সমাবেশের অধিকার হরণ, শহর ও গ্রামে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর পুলিশ-সাদা পোশাকধারী ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হামলা-গুপ্ত হত্যা, গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। রাজনৈতিক কারণে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও সবার গণতান্ত্রিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানেরও দাবি জানানো হয়।</p> <p>সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও জনজীবনের সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সারাদেশে পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। মূল্যবৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সর্বত্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।</p> <p>সভায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘোষিত মজুরি বাতিল ও বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচার, নিহত প্রতি শ্রমিক পরিবারকে এক জীবনের সমান ক্ষতিপূরণ ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার এবং গার্মেন্টসে ছাঁটাই বন্ধ, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।</p> <p>সভায় দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিতে সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ ও শাসকশ্রেণীর নতজানু নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানানো হয়।</p>