<article> <p>হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আর কাবাগৃহের হজ করা মানুষের ওপর ফরজ—যার সামর্থ্য আছে এ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে তা মানে না, (জেনে রেখো) আল্লাহ সারা বিশ্বের কোনো কিছুর পরোয়া করেন না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭)</p> <p>হজের অংশ হিসেবে জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ—এই পাঁচ দিনে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করে হজযাত্রীরা হজের কার্যক্রম পালন করেন। এ সব স্থানে গিয়ে বিভিন্ন দোয়া পড়া সুন্নত। নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি দোয়া তুলে ধরা হলো-</p> <p style="text-align: justify;"><strong>১. কাবাঘর দেখে যে দোয়া পড়তে হয়</strong></p> <p style="text-align: justify;"><img alt="হজে পঠিতব্য মাসনুন দোয়া" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/15-06-2024/islam/1.jpg" /></p> <p style="text-align: justify;">উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা জিদ হাজাল বাইতি তাশরিফান ওয়া তাজিমান ওয়া তাকরিমান ওয়া মাহাবাতান। ওয়া জিদ মান শাররাফাহু ওয়া কাররামাহু ওয়া আজ্জামাহু মিমমান হাজ্জাহু আউ ইতামারাহু তাশরিফান ওয়া তাকরিমান ওয়া তাজিমান ওয়া বিররান।</p> <p style="text-align: justify;">অর্থ : হে আল্লাহ, আপনার এই ঘরের বড়ত্ব, সম্মান ও মর্যাদা এবং শান বাড়িয়ে দিন। হজ ও ওমরাহকারীদের মধ্যে যে এ ঘরের সম্মান ও ইহতিরাম করবে, তার মর্যাদা অন্তরে ধারণ করবে, তার সম্মান, মর্যাদা, মহত্ত্ব ও নেকি বাড়িয়ে দিন।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : আস সুনানুল কুবরা লিল-বাইহাকি : ৫/৭৩</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><strong>২. তাওয়াফ শুরু করার দোয়া</strong></p> <p style="text-align: justify;"><img alt="হজে পঠিতব্য মাসনুন দোয়া" height="110" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/15-06-2024/islam/2.jpg" width="589" /></p> <p style="text-align: justify;">উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ঈমানান বিকা, ওয়া তাসদিকান বিকিতাবিকা ওয়া ইত্তিবায়ান লিসুন্নাতি নাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন (সা.)।</p> <p style="text-align: justify;">অর্থ : হে আল্লাহ! (আমি তাওয়াফ শুরু করছি) আপনার প্রতি ঈমান এনে আপনার কিতাবকে সত্যায়ন করে এবং আপনার নবী মোহাম্মদ (সা.)-এর অনুসরণ করে।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : আবদুল্লাহ বিন সায়িব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাওয়াফের শুরুতে এই দোয়া পড়তেন।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>৩. রোকনে ইয়ামানি ও হাজরে আসওয়াদের মধ্যে পড়ার দোয়া</strong></p> <p style="text-align: justify;"><img alt="হজে পঠিতব্য মাসনুন দোয়া" height="80" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/15-06-2024/islam/3.jpg" width="514" /></p> <p style="text-align: justify;">উচ্চারণ : রব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া হাসানাহ, ওয়াফিল আখিরাতে হাসানাহ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ দিন, আখিরাতের কল্যাণ দিন এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : আবদুল্লাহ বিন সায়িব (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুই রোকনের মধ্যে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৮৯২)</p> <p style="text-align: justify;"><strong>৪. হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহিমের মধ্যে পড়ার দোয়া</strong></p> <p style="text-align: justify;"><img alt="হজে পঠিতব্য মাসনুন দোয়া" height="75" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/15-06-2024/islam/4.jpg" width="555" /></p> <p style="text-align: justify;">উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা কান্নি’নি বিমা রাজাকতানি ওয়া বারিকলি ফিহি। ওয়াখলুফ আলা কুল্লি গাইবাতিন লি বিখাইর।</p> <p style="text-align: justify;">অর্থ : হে আল্লাহ, যে রিজিক আপনি আমাকে দান করেছেন তাতেই আমাকে তুষ্ট রাখুন, এতে বরকত দান করুন এবং আমার থেকে যেসব নিয়ামত দূর হয়ে গেছে এর উত্তম বদলা আমাকে দান করুন।সূত্র : আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এই দোয়া পাঠ করতেন। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ১৮৭৮)</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><strong>৫. জমজমের পানি পান করার দোয়া</strong></p> <p style="text-align: justify;"><img alt="হজে পঠিতব্য মাসনুন দোয়া" height="65" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/15-06-2024/islam/5.jpg" width="491" /></p> <p style="text-align: justify;">উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান, ওয়া রিজকান ওয়াসিয়ান, ওয়া শিফাআম মিন কুল্লি দায়িন।</p> <p style="text-align: justify;">অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী ইলম, প্রশস্ত রিজিক ও সব রোগ থেকে আরোগ্য প্রার্থনা করছি।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : জমজমের পানি পান করার সময় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) উল্লিখিত দোয়া পাঠ করতেন। (দারাকুতনি, হাদিস : ২/২৮৯)</p> <p style="text-align: justify;"><strong>৬. সাফা-মারওয়ার নিকটবর্তী হলে দোয়া</strong></p> <p style="text-align: justify;"><img alt="হজে পঠিতব্য মাসনুন দোয়া" height="110" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/15-06-2024/islam/6.jpg" width="588" /></p> <p style="text-align: justify;">উচ্চারণ : ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শাআইরিল্লাহ, ফামান হাজ্জাল বাইতা আও ইতামারা ফালা জুনাহা আলাইহি আই ইয়াত্তাউওয়াফা বিহিমা। ওয়ামান তাতাউওয়াআ খাইরান, ফাইন্নাল্লাহা শাকিরুন আলিম।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">অর্থ : নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে ব্যক্তি বাইতুল্লায় হজ কিংবা ওমরাহ করবে, এ দুটির তাওয়াফে (সাঈতে) তার জন্য দোষ নেই। কেউ স্বেচ্ছায় ভালো কাজ করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : সাফা পাহাড় নিকটবর্তী হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) উল্লিখিত আয়াত পাঠ করতেন। (আল-আজ্জু ফি আজকারিল উমরাতি ওয়াল হজ, পৃষ্ঠা-২৩)</p> <p style="text-align: justify;"><strong>৭. সাফা পাহাড়ে কিবলামুখী হয়ে দোয়া</strong></p> <p style="text-align: justify;"><img alt="হজে পঠিতব্য মাসনুন দোয়া" height="61" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/15-06-2024/islam/7.jpg" width="673" /></p> <p style="text-align: justify;">উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ইয়ুহয়ি ওয়াইয়ুমিতু বিয়াদিহিল খায়রু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।</p> <p style="text-align: justify;">অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরিক নেই। বিশ্বময় তাঁর রাজত্ব আধিপত্য। সব প্রশংসা তাঁরই। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান, সব কল্যাণ তাঁর হাতে। আর তিনি সর্বশক্তিমান।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : রাসুলুল্লাহ (সা.) সাফা পাহাড়ে উঠে বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে তিনবার ‘আল্লাহু আকবর’ বলে এই দোয়া পাঠ করেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ১২১৮)</p> <p style="text-align: justify;"><strong>৮.সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার সময় দোয়া</strong></p> <p style="text-align: justify;"><img alt="হজে পঠিতব্য মাসনুন দোয়া" height="100" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/15-06-2024/islam/8.jpg" width="400" /></p> <p style="text-align: justify;">উচ্চারণ : রাব্বিগফির ওয়ারহাম ইন্নাকা আনতাল আ-আজ্জুল আকরাম।</p> <p style="text-align: justify;">অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহাপরাক্রমশালী, মহাসম্মানী।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার সময় সবুজ পিলারদ্বয়ের মধ্যে দ্রুত চলার সময় এই দোয়া পড়তেন। (ফুতুহাতুর রব্বানিয়্যাহ : ৪/৪০১)</p> <p style="text-align: justify;"><strong>৯. আরাফার দিনের দোয়া</strong></p> <p style="text-align: justify;"><img alt="হজে পঠিতব্য মাসনুন দোয়া" height="54" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/15-06-2024/islam/9.jpg" width="512" /></p> <p style="text-align: justify;">উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।</p> <p style="text-align: justify;">অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরিক নেই। বিশ্বময় তাঁর রাজত্ব আধিপত্য। সব প্রশংসা তাঁরই। সব কল্যাণ তাঁর হাতে। আর তিনি সর্বশক্তিমান।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সর্বোত্তম দোয়া হলো আরাফার দিনের দোয়া। উত্তম হলো যা আমি ও পূর্ববর্তী নবীগণ বলেছেন। অতঃপর তিনি ওপরের দোয়া পাঠ করেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮৫)</p> <p style="text-align: justify;"><strong>১০. শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের দোয়া</strong></p> <p style="text-align: justify;"><img alt="হজে পঠিতব্য মাসনুন দোয়া" height="78" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/15-06-2024/islam/10.jpg" width="489" /></p> <p style="text-align: justify;">উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর, রাগমান লিশ-শায়তান, ওয়া রিদান লির-রহমান, আল্লাহুম্মাজ আলনি হাজ্জাম মাবরুরান, ওয়া জানবান মাগফুরান ওয়া সা’ইয়াম মাশকুরান।</p> <p style="text-align: justify;">অর্থ : সেই আল্লাহর নামে, যিনি মহান। শয়তানকে অপদস্থ করার উদ্দেশ্যে এবং মেহেরবান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমি এ কঙ্কর মারছি। হে আল্লাহ! আমার হজ কবুল করুন, প্রচেষ্টাকে ফলবতী করুন, গুনাহরাজি ক্ষমা করুন। (আল মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ : ২৩/১৬৩)</p> <p style="text-align: justify;"> </p> <p style="text-align: justify;"> </p> </article>